কবিতায় কুণাল রায়

বৃষ্টি

নীল গগনে ঘনীভূত হয়েছে মেঘরাশি,
অস্তমিত হয়েছে সূর্যদেব,
তবে তা প্রহসন মাত্র,
আলতো রোদের স্পর্শে এক স্বর্গীয় অনুভূতি
সাথে শীতল সমীরণ,
জাগায় এক বিরল শিহরণ।
অকস্মাৎ এক গর্জন,
স্তম্ভিত এই সৃষ্টি,
এক বিন্দু নেমে এল ধরিত্রীর বুকে,
এর পর অঝোরে তোমার উপস্থিতি,
তৃপ্ত করল এই মেদিনীকে,
সিক্ত করল প্রেমিকের হৃদয়,
স্পর্শ করল তাঁর চেতনা,
জাগিয়ে তুললো তাঁর আবেগকে,
কিন্তু প্রেয়সী তো সম্মুখে নেই আজ,
তবু হৃদয়ের প্লাবনকে সযত্নে,
স্থান দিল সে,
যদি কখনো দেখা পায় তাঁর,
বলবে সে তাঁর অনুরাগের গাঁথা!
বৃষ্টি, তুমি যে বড়ই অহংকারী,
ক্ষুদ্র তুমি নও,
একত্রে প্রলয় সম তোমার ক্ষমতা!
সমীর তোমার নিকট,
শিশুর ক্রন্দনের সম,
তাঁকে বশীভূত করে,
তোমার অস্তিত্ব চিরন্তন!
বৃষ্টি, আজ তুমি শহরে না বহু দূরে?
অজানা আমার,
শুধু জানি তোমার নূপুরের ছন্দে,
বারবার ছুটে যায় এই মন,
এই প্রাণ তাঁর বিষণ্ণতা বিস্মৃত হয়ে,
দাঁড়ায়ে গিয়ে বাতায়নের নিকট!
এক উল্লাস গ্রাস করে এই চিত্তকে,
বিস্মৃত হয়ে সকল গ্লানি,
বিস্মৃত হয়ে এই পার্থিব পীড়ন,
বিস্মৃত হয়ে মুহূর্তের অভিপ্রায়, মুহূর্তের অভিলাষ!
নয়নের মাঝে তখন শুধুই সবুজ বনানী,
আর তার মাঝে শুধুই তুমি,
তোমার অপার সৌন্দর্য, তোমার স্নিগ্ধ কায়া,
রয়েছে কেবল আমারই সাথে!!
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।