পুরুষ তুমি স্বর্গীয়
যখন আমার কোলে সন্তানরূপে এসেছিলে
দুহাতে জড়িয়ে গলা কত না ভালবেসেছিলে
তোমার দুচোখে ছিল চরম নির্ভরশীলতা
না বলা ভাষায় ছিল মায়া কাড়ার ক্ষমতা
পরম স্নেহে তোমায় আমি তিলে তিলে গড়েছি
বিপদে আপদে দুঃখে সুখে বুকে চেপে ধরেছি
তোমার সুখী জীবন আমার একমাত্র কাম্য
সার্থক মাতৃত্ব আমার সার্থক নারী জন্ম।
পুরুষ তুমি সুন্দর
তোমার মনোলোভা দৃষ্টিতে দোলে আমার অন্তর
বন্ধু ভেবে তোমার কাছে উজার করেছি নিজেকে
আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে বরণ করেছি তোমাকে
প্রেমিক তুমি সখা তুমি আমার জীবন করেছ সুন্দর
তোমার জন্য বাঁচতে চেয়েছি জন্ম থেকে জন্মান্তর
আমার ভালবাসা তোমায় করবে চির রঙীন
তোমার প্রেয়সীরূপে আমি থাকব চিরদিন।
পুরুষ তুমি অপরূপ
যখন তুমি স্বামী যখন কর্তা
দুহাত দিয়ে আগলে রাখো আমার নারী সত্ত্বা
সকল আবেগে সঙ্গ দিয়েছ থেকেছ পাশে অসময়ে
আমিও বাড়িয়ে দিয়েছি হাত পাশে চলেছি নির্ভয়ে
কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দুজন সংসার গড়ে তুলেছি
সুদিন দুর্দিনে আমরা পাশাপাশি পথ চলেছি
বিশ্বাস আমার ভরসা আমার তুমিই তো সহায়
সার্থক আমার নারী জন্ম সিঁদুর শাখা পলায়।
পুরুষ তুমি স্রষ্টা
পৃথিবীর বুকে চোখ মেলে দেখা প্রথম তোমার মুখ
তোমার বুকে মাথা রেখে বাবা আমার যে বড় সুখ
যত কিছু আবদার বাবা তোমার কাছেই রাখি
তোমার স্নেহের আশ্রয়ে আমি বড় হয়ে থাকি
যত শিক্ষিত করবে আমায় তোমার ভরসা হব
সব রকম প্রয়োজনে বাবা তোমার পাশে র’ব
তোমার স্বার্থত্যাগ বাবা ভুলব না কোনদিন
ধন্য আমি কন্যা তোমার কাছে অশেষ ঋণ।
পুরুষ তুমি সহকর্মী, বন্ধু, দাদা এবং ভাই
যখন যে কোন প্রয়োজনে তোমায় পাশে পাই
কত না হাসিতে কত কান্নায় কাঁধে রেখেছ হাত
হাসপাতালে কত না সময় জেগে কাটাও রাত
কত লড়াই এ সঙ্গে থেকেছ দিয়েছ সম্মান
উপহারে আর স্নেহে ভেঙ্গেছ কতবার অভিমান
অত্যাচারী তো সবাই হয় না সংখ্যায় কতিপয়
তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও দাও মানুষের পরিচয়
ধন্য এ নারী জন্ম তোমার সহৃদয়তায় মুগ্ধ
পারস্পরিক সম্মানে হব চির অঙ্গীকার বদ্ধ।