• Uncategorized
  • 0

সাপ্তাহিক ধারাবাহিকা -তে পলাশ চৌধুরী (পর্ব – ১৩)

স্টেজের পাশেই স্বয়ংসিদ্ধা

ত্রয়োদশ পর্ব

ক্রমশ ক্রমশ করতে গিয়ে যে কথাটা কবেও বলা হয়ে ওঠে না, তা হল ছেড়ে দেওয়ার পরেও আমার ভুলে যাওয়া হয়ে ওঠে না। এই নিয়মিত প্যান্থার, বান্ধবীর সারল্যে নিয়মিত খুটখাট, এবং এদের প্রতিটি আলস্যে আমি শুধু রিঙ ছাড়ি। তন্দ্রা এমনই এক লেবেল লাগানো অবসরবিহীন বিজারণ যেখানে আমি প্রতিবারই নতুন আবিষ্কার করে ক্লাসিক ফ্ল্যাগ ঝুলিয়ে দিই।
বান্ধবী কথনেও এমন কিছু জ্বলন্ত আগুন আছে সেখান থেকেও অজস্র সাহিত্য বা ভিন্নতার এক্সেলেটর পাওয়া যায়। ভালবাসার যে ব্লিডিং পয়েন্ট উভয়ের দোলনায় দুলতে থাকে সেখানে নষ্ট হয়ে যাওয়া ঈশ্বরের ভিতর প্রাচীন বেদনা চাড়া দিয়ে ওঠে। যেমন উপদেশ মূলক ভাবে বলাই যায় ভালবাসা ইসইকোয়াল্টু ত্যাগ, বাস্তবে কী তাই! ভালবাসা একটা আদিম বেলা যেখানে ভেলার চেয়ে গেলার প্রাধান্য বেশি।
সাহিত্য এমন এক জোটাজাল যার সম্বন্ধে ঠিক বেঠিক এ সমস্ত কথাগুলি বেকার জড়। একই ভাবে প্রিয় বান্ধবীর প্রণয় প্রণালী প্রিয় বন্ধুর কাছে জড় হয় কারণ নিজেকে নিষ্প্রাণ ভেবে নিতে না পারলে অন্যের প্রণয়গাথার দীর্ঘ সত্য শোনা অসম্ভব। নীহার এভাবেই বলে, এভাবেই শেখে চেনে এবং নিজেকে ক্রেতা বানিয়ে ফেলে। ঠিক যেমন এখন সে লেখছে
“মানুষ প্রেম প্রেম করে যে চিতার জন্ম দিয়েছে সেখান থেকে ছাই হয়ে যাওয়ার আগে পালিয়ে আসা অসম্ভব, এসব উপাখ্যানের মতো শুনতে ভাল লাগে আমার, নিজেকে ওদের জায়গায় বসাতেও ভাল লাগে কিন্তু ভয় হয় যদি প্রতিষ্ঠার লোভে আমিও কলমের মতো প্রেম বিকিয়ে ফেলি!”
কলম যেখানে প্রেম হয় সেখানে জারণ সম্ভব নয়। একটা পর্যায়ে দাঁড়িয়ে নিজেকে চাণক্যের বীর্যাংশ মনে হয়, তখনই মুখ দিয়ে এসব জ্ঞান প্রতীমাগুলিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠিত হয়। যেমন লেখার সময় না ভেবেই লেখে ফেলা যায়
“ভালবাসার কাছে খালি হাতে যেতে হয় এবং সবশেষে খালি হাতেই ফিরে আসতে হয়।”
কিন্তু বাস্তবের ভিত্তিতে কলম চালালে এই লেখা নেকুপুষু একটা জুলিয়াস সিজারের গল্প ছাড়া কিছুই হয় না। বাস্তব লিখতে হলে ট্রয় বিয়োগিনীর কাকতন্দ্রায় হাল চালাতে হয়। সেখানে খালি হাতের কোনো স্থান নেই যাছে দেয়ালের গায়ে, বিছানায়, সিঁড়িতে লেপ্টে থাকা ভোগের ইতিহাস।
ভাবাক্রান্ত রচনাবলিকে সমৃদ্ধ করার পাঠক অনেক কিন্তু নীহারকে জ্বলিয়ে যে দগদগে লোহাখানি বেরিয়ে আসবে তাতে হাত দেওয়ার মতো সাহসী পাঠক নেই। তবু এ কলমজীবনে দ্বিতীয় অধ্যায়ে যে কাটা ছেঁড়া সে করলো তার বংশধর সাজিয়ে নীহার শুরু করলো তৃতীয় পর্বের হাড় গোলানো অ্যাজমা লিখন।

ক্রমশ…

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *