বাতাসে বারুদগন্ধ মিশে আছে–
পোড়া তামাক কালশিটে মেঘ ঠেলে–
ওরা কার খোকা গো? ওই যে—-
রেললাইন জুড়ে ছড়িয়ে আছে রুটি চটি
ছেঁড়া ছেঁড়া শরীর? ও কার খুকু ?
ওই যে ঢলে পড়ল পথের ধারে–
বেড়িয়েছিল মায়ের কাছে ফিরবে বলে—
রাত গভীর হলে মা ঠাকুর থানে মোমবাতি জ্বালে–
শিউরে উঠে বলে– ষাট ষাট, বাছা আমার ভালো থাক—
বসে থাকে মা,——
খোকা খুকু বড়ো দেরী করে ফেরে–
ভয় পায় যদি কোনোদিন একেবারে———–
পাক খায় কুরুশের সুতো
জীবন জালিকা ঘিরে।
♥️ প্রিয়তমা হে ♥️
মধুভরা সেই বাঁশি সুর ভুলেছে রাই
একাকী যমুনা তীরে নির্জনে– অঙ্গ ভেজাই
এখন শুধুই শব্দের শব কাঁধে হাঁটা —-
পাথর রাত থেকে ছায়াময় গদ্য অবধি
ভালোবেসে যতো কাছে এসেছি—-
অভিমানে আনখশির পুড়েছি
দগ্ধ এ মনে তোমার পারদ অভিসার।
অভিমানী মন ফিরে দেখে আজও
পর্যাপ্ত আলোর নিশান–
প্রেম নয়,প্রার্থনা হয়ে ওঠো তুমি
ভালোবাসার শেষ কথা হও তুমি
কবিতা হও,গান হয়ে ওঠো কোমলগান্ধার—
এই নোনাবালি, প্রিয়তম গোপনের শব,
এই রুক্ষতা, হাহাকার, সব আমার থাক।