• Uncategorized
  • 0

সাপ্তাহিক ধারাবাহিকা -তে পলাশ চৌধুরী (পর্ব – ১১)

স্টেজের পাশেই স্বয়ংসিদ্ধা

একাদশ পর্ব

অতঃপর নৌকাটা নিশানা স্থির রাখতে না পেরে, একটা গোল ঘুর্ণির মতো মাঝ দরিয়ায় ঘোরে। প্রেম যেখানে সৌখিন হয় না সেখানে শুধু তার একটা প্রতিচ্ছবি এঁকে রাখা যায়। লেখার জগতে প্রবেশ প্রেমের পূর্বে, অতএব প্রেমকে অতিথি ভেবে আবার লেখার কাছে ফিরে আসে নীহার। অনীহা বরাবরই যেহেতু তার অগ্রজ তাই তাকেই সম্মতি দিয়ে আবার লিখতে শুরু করে জ্যাবড়ানো হলাহল।
লেখক যেখানে তুষ্ট হয়ে যায় নিজে সেখান থেকে আর লেখা আসে না, যেভাবে প্রেম ভুলে যাওয়ার পর আবার জীবন লেখা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। এক পুরনো বন্ধু এসব থ্যাবড়া বৈষম্য লেখার চেয়ে প্রেম প্রতিশ্রুতি লেখার পরামর্শ দেন নীহারকে। উত্তর সবসময় নীহারের পাশাপাশি চলে, যেন রেডিমেড কারফিউ, নীহার বলল,
“আমারও আজকাল প্রেম লেখতে ইচ্ছা হয় খুব, কিন্তু শালা এমন প্রেমিকা দেখতে পাই না, যে শুধু প্রেমের জন্য আমাকেও মেরে ফেলবে।”
অপরপক্ষ বরাবরের মতো নিরুত্তর হয়ে চায়ের কাপে একটা চুমুক দেন এবং নীহারের মুখ দেখে অন্তর্ভুক্ত সচলদের পড়ার চেষ্টা করেন।
যদিও এটা নতুন কিছুই নয়, আসলে নীহার কখনো তাদের ছিলই না যারা শুধু প্যারালাল প্যারালাইজড হয়ে লেখার আলপিনে নিজের পছন্দের ছিদ্র বানাতে চায়।
যারা নিজের থেকে নিজেকে হারিয়ে যেতে দেখছে, তারাও ফাস্ট্রেটেড। সকলে নীহার কে সেরকমই কিছু একটা ভাবে। শুধু নীহার নিজে জানে সে বরাবর নিজেকে পেরিয়ে যেতে চেয়েছে। যেহেতু অগ্রজ তাই সম্মতি দিলে সম্মান ভেবে তৃপ্তি পাবে, তাই নীহার বাগবিভূতি আত্মবিড়ম্বনা না আওড়িয়ে আবারও গুম হয় নিজের তেলেনাপোতায়।

ক্রমশ…

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।