• Uncategorized
  • 0

কাব্য গাথায় শ্রীতন্বী চক্রবর্তী

দুই পশলা হোকনা

আহরণ

তোমার আসা-যাওয়ার নিত্যস্রোতের গরিমায় বিহ্বল প্রচ্ছন্ন নীরবতা,
ভাষা জানায় শুধু থমকে থাকা সময়,
যদি, সীমাহীন রাত্রি যাপন আর তোমাকে ভুলে থাকা, চোখের কোণায় শিশিরকণা-
সবুজে সুস্নাত, মায়াবী, ছাউনি, আগল আর তারপর সেই দিকচক্রবাল-
ঠোঁটে তখন লেগে থাকা বালি, আর নোনা ডাব জলের নির্যাস…
দু-কথা লেখা তবু শেষ
দু-কথা রয়ে গেলো বাকি-
দু-কথা সম্রাটের বুকে,
আর শেষ দু-কথা থাকলো না হয় ফাঁকি।

বইমেলা

একদিন আবার আগের মতোতোমার হাতে হাত রেখে কথা বলে যাবো অনর্গল,
যেদিন আবার ময়দানে বইমেলাহবে, তোমার চশমার ঝাপসা কাঁচে জমবে কুয়াশার স্মৃতি,
আর রোদ-ছাঁকা বিকেল থমকে দাঁড়াবে হাওড়ার বড় ঘড়ির ছোট্ট কাঁটায়-
তারপর?
একটা দুপুর পাঞ্জাবিতে ছিঁড়বেসুতো কাঠ-বোতাম
বৃষ্টি-দীঘল বাবুই-বাসা তোমারডাকে আমার খাম
কলকাতাতে সন্ধ্যে নামে, অক্ষরেতে ফ্যান্টাসি
ঠুনকো-সকাল, লুব্ধ-বিকেল, রাত্রিগুলোও বানভাসি
শনিবারটা আবার ছুটি, ফুটবেসে রং আসমানীও
বারো বছরেই পুনরজনম, চোখ ভেজাটাও বাঞ্ছনীয়
নক্সী-কাঁথার মাঠ উপহার, প্রেম-কবিতা আগলবিহীন
হেমন্তেরই মিষ্টি বিকেল, ক্যালেন্ডারে ছুটবে হরিণ
বলতে গিয়েও আর হলো না, ফুটপাথেতেই খেলনা গুনিস
“বৌ নাকি তোর? মিথ্যে কথা, ক্ল্যারিওনেটের শব্দ শুনিস?”
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।