চার দিকে আতঙ্ক আর মৃত্যুভয় । তবু পৃথিবীর আবর্তন ত থামে না। আবার এর মাঝেই পাশ্চাত্যধারায় মাতৃদিবসের আয়োজন।
বোধ
সেই কত দিন আগে আমায় ইকড়ি মিকড়ি খেলে শব্দ চেনালে
মা,
বাবার মত হাতের লেখা কিন্তু হল না আমার
খালি গল্প আর গানেদের
খালি সুর আর ভালবাসাদের
খালি প্রতিবাদ আর প্রণামদের
বুকের মধ্যে আঁকড়ে রাখলাম।
সেই আষাঢ় আর ভেসেআসা মেঘের আঁধার
সেই শিউলি ফুলের গন্ধ আর ঢাক
সেই হিম হিম মাংকি টুপি আর তারাবাজি
আর এত্ত আদরের ওম
দু হাতের মধ্যে ধরে রেখে দাঁড়িয়ে আছি
সামনে দৌড়ে যাচ্ছে ব্রেক্সিট
সুইস চকোলেট সুরার পাত্র
নেশাগ্রস্ত পৃথিবী রক্তাক্ত শৈশব
বলছে পালাও পালাও
আমি ছোট্ট ঘরে
তোমার দোতলার বারান্দা থেকে ঝুঁকে
বলছি
এত ভয়ের কিচ্ছুটি নেই
থামো
ফিরে দাঁড়াও
দেখো সবুজ পাতায় জবাকুসুমসঙ্কাশ আলো বলছে
মাভৈঃ
আরে পাগলেরা মুখ তুলে দেখো আকাশ তো আকাশই আছে
যেমন ছিল সেই ছোটোবেলায়।