• Uncategorized
  • 0

সাপ্তাহিক ধারাবাহিকা -তে পলাশ চৌধুরী (পর্ব – ৭)

স্টেজের পাশেই স্বয়ংসিদ্ধা

সপ্তম পর্ব

আচ্ছাদন বিশেষ রূপের বিশেষণীয় ঐকিক। কূলেল মাছি ঝাপটানো ট্রয় বিয়োগিনীর কাকতন্দ্রা ব্লিঙ্ক করে এখানে। আড়াইহাতের মহাযশ পা পা করে এগিয়ে আসছে। আচ্ছাদন চেনা সহজ, পুরাতন, কেবলান্ত অতএবের পর আর এক পাও এগিয়েছে বলে মনে হল না। নি’দুঃখ আহারার্থী সেবী। লগ পরখ করা হবে না এদের। অর্থাৎ আঢাকা, মুড়ে মুড়ে যে সোজাপথ শিরদাঁড়ায় ইস্পাত গেঁথে দ্যায়, ওই অহাত কুহাতে ওষ্ঠদ্বয় চিপকে দেওয়া আবশ্যক। যে মত প্রথাসিদ্ধ, তার মরণবাড় নিশ্চিত। লিড দিতে হয় প্ল্যাটফর্ম নিজস্ব করতে। বিরোধ আবশ্যক, প্রথাবিরোধ। ম্লানায়মান ঋতুরোখ প্র‍্যাক্টিক্যাল জোলাবের মতো। কতবার টয়লেটে ট্রায়েল দেওয়া হল তার চেয়েও গুরুত্ববহ পেট পরিষ্কার হয়েছে কতটা। এই আচ্ছাদন দোষ, সেলিব দোষ, ভার বাড়িয়ে দ্যায়। নির্ভার খেজুরে টুপির শান্তিদূত হয় না কোনো আচ্ছাদন। পা নিজের যেহেতু, চালক নিজে হওয়াই দরকার এখানে দরকষা দরিয়া মাপলে ডাবজল নোনতা এ পরিচিতি আসবে না। তৎপর হতে গিয়ে অপর হলেই গিলে ফেলবে আচ্ছাদন। জন্ম সেচনকারী এই প্লিহা এপ্লিকেশন অল্টারনেটর হয়েই ব্লাউজ ফাটায়। মিহিলিস্ট ভেদ হলে আচ্ছাদনের চেয়ে বড়ো বাধা প্লাস্টার করা চিনের পাঁচিলও নয়। ওহে নিয়মিত স্নাতক হার মেনে নাও, এহেন ছাউনি জয়ের চেয়ে হেরে যাওয়ায় গর্বিত হও।
সুতরাং, আচ্ছাদন অজান্তে জড়িয়ে ধরলেও, সেই প্লেগ সত্ত্বা থেকে বিদেহী ঋষিশাপ থেকে প্রাণ প্রকৌশলে বাঁচিয়ে রাখা আবশ্যিক। ধুকপুক করা রিক্ত শ্লোক প্লুতগতিতে প্রাইজ লোভী করলে প্লুটোতে সূর্যরথ থামিয়ে গ্যাঙ্ধর্ষণ হতে নিজেকে বাঁচানোর মন্ত্রগৃহে প্রবেশ করো। আপাতসফল নিজের ধর্ষক ধর্মশাসন করতে গিয়ে আঁতকে উঠবেই। গতআচ্ছাদন স্লেজবাহিত শ্লেষ্মা, যতটা বেরিয়ে যায় ততটা কার্বন মুক্ত শ্বাস তোমার। নোভেল পড়তে গিয়ে লেখকের লেভেল দেখা যতটা গুরুত্বহীন, ততটায় গুরুত্বহীন এই আচ্ছাদনদোষ। তোমার সেন্সর কতটা উদ্দীপনা দেয়, কতটা তুমি পারগ, হিসেবসীমা ভেদনে কতটা মৃগী তুচ্ছ করতে পারো তুমি, আচ্ছাদনহীন হয়েই বোঝা সম্ভব। কলম নিজের, তাতে ঢোল নিজেরই পেটাও। এ অহংবোধ শুভ। সত্ত্বা তর্পণে পিঠচাপড়ানি পেতে পারো কিন্তু পশ্চাৎপটের কালশিটে মুছতে মুক্ত আকাশ, মুক্ত বাতাস প্রয়োজন। তোমার অন্তর্নিহিত ক্ষতের সন্ধান সেলিবরা করবে না। বিক্রিত কু-ইন্ধন দেয় শুধু, তার সলতে উসকে দেবার মতো ভাপলাগানো আঙুল তুমি, ব্যবহৃতই হয়ে যাবে। সিংহাসন পেতে গিয়ে উপরে তাকিয়েও নিজের আকাশ পাবে না একদিন। অতএব এই কলমধরা গ্রুপতত্ত্ব থেকে বেরিয়ে এসো, বক হও, তর্পণে ব্লেড মিশিয়ে ছিঁড়ে ফেলো আচ্ছাদন। অহম চেনো, তুমিতেই সিংহ তুমি, সিংহাসনও তোমার, ভীরুতা দিয়ে সত্ত্বা বিসর্জনের চেয়ে নিজেই নিজের পাঠক হওয়া শ্রেয়।

(চলবে)

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।