পিঠে বয়ে নিয়ে চলেছে প্রায় দশগুণ ভারী একটা খোলস। ইচ্ছে করে না নিয়ে যেতে, তবু নিরূপায়। অনাহুত আগন্তুক তো কম নেই; কেউ মাড়িয়ে দিল, বা খুঁচিয়ে দিল, বা একটা পেনাল্টি শটই মেরে দিল আদর করে! আছড়ে পড়ার আগে মাথাটা তো বাঁচানো যাবে অন্তত, আর সম্ভব হলে পরিমাণমতো সম্মান।
তবে বেশীক্ষণ পারলো না শামুকটা আত্মরক্ষা করতে। কয়েক মুহূর্ত পরেই তার সামনে এসে দাঁড়ালো অনেকগুলো মাংসাশী প্রাণী। কেউ ক্ষুধার্ত, কেউ নেশাচ্ছন্ন, কেউ লোভাতুর। কেউ তার শুঁড়দুটো খেতে চায়, কেউ স্বাদ পেতে চায় তার চকচকে তলদেশের।
প্রথমে তারা আঘাত করল খোলসে। সাধ্যমতো প্রতিবাদ করে ককিয়ে উঠলো খোলসটা। মুহূর্তের ভগ্নাংশে শামুকটা তার শরীরটা ঢুকিয়ে নিল খোলসের ভেতরে। কিন্তু হায় . . .! বাইরের আবরণ আর কবে অন্তর্নিহিত শরীর বাঁচাতে পেরেছে?
পরবর্তী একের পর এক আঘাতে নুয়ে পড়ল খোলসটা। বেরিয়ে পড়ল কর্দমাক্ত অসহায় ছটফটে ছোট্ট নিষ্পাপ শরীর। তারপর …
বাকিটা তো ইদানীংকালে প্রতিদিনের সংবাদপত্রের প্রথম পাতার শিরোনাম!