• Uncategorized
  • 0

সাপ্তাহিক ধারাবাহিকে হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় (পর্ব – ৬)

সোনা ধানের সিঁড়ি

১৬
বাসে ট্রেনে কত মানুষের সঙ্গে আমাদের দেখা হয়। সবাই ভিন্ন ভিন্ন ধরনের। এদের মধ্যে কাউকে আমরা চিনি আবার কাউকে একেবারেই চিনি না। চিনি মানে তাকে আগে কোথাও দেখেছি। হয়তো তার বাড়িও চিনি। তার সম্পর্কে দু একটা ঘটনার কথাও আমরা জানি। ব্যাস এইটুকুই। আর অচেনা মানুষের কিছুই আমরা জানি না। দুজনের মধ্যে তফাৎ কোথায় ? হ্যাঁ, অবশ্যই আছে। কিন্তু এই চেনায় কি বিশেষ সুবিধা পাওয়া যায় ? আমার সামনের মানুষটা হঠাৎ বিপদে পড়ল। এই বিশেষ মুহূর্তে চেনা অচেনায় কি তফাৎ হয় ? একটাই তফাৎ, তার বাড়ির মানুষজনদের সচেতন করা যায় । একজন মানুষ হাসছে, কথা বলছে, হেঁটে যাচ্ছে —– এই ক্ষেত্রগুলিতে চেনা অচেনায় কি তফাৎ হয়? তাই যখনই আমরা কাউকে চিনি জানি বলে দাবি করি তখনই আমাদের চোখে ভেসে ওঠে তার সঙ্গে আগে কয়েকবার দেখা হওয়ার ব্যাপারটা। আর তার বাড়ির ছবিটা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তার আচরণ। চেনা বলতে কি শুধু এইটুকুই ?
 
১৭
চেনা পথে হেঁটে গেলে আমার একটা অদ্ভুত অনুভূতি হয়। অনেক গল্প মনে পড়ে। অথচ এমন তো নয় সেই পথ ধরে আমি অজস্রবার হেঁটে গেছি। হয়ত একবার কি দু’বার। খুব বেশি হলে বার পাঁচেক। আসলে ঘরে অথবা স্টেশনে যখন একলা বসে থাকি তখন আমার মনে পথ আসে তার নিজের বৈশিষ্ট্য নিয়ে। আমার রঙে পথকে তখন আমি রঙিন করি। পরে যখন পথের কাছে যাই, বুঝতে পারি পথও আমাকে দেখে। আবার এমনও হয়, পথ সম্পর্কে আমার মূল্যায়ন তার খুব ভালো লেগে গেছে বলে আমার কাছে সে যেন নতুন রূপে ধরা দেয়। উঠে আসে নতুন নতুন গল্প। এই সব গল্প আমাকে আনন্দ দেয়।

ক্রমশ…

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।