• Uncategorized
  • 0

কবিতায় রঞ্জন মৈত্র

হেমন্ত হাওয়া 

কেবল কাঁপনগুলো তর্জমা হয়
তখন জোয়ার কিম্বা ভাঁটা
অন্ধকার বা মেঘ
মাঝি ও মাছের মাঝামাঝি একটা স্বরলিপি
সাকি আর জিহাদির সরহদ রেখায়
শরৎবাবু আর শিবরাম চক্রর মাঝ দিয়ে
তুমিও তর্জমায় গান
পাম নাপাম সব নিড়েনের পর
হেমন্তের নারা লাগাই
হাওয়া কাঁপে
সটান রাস্তার পিঠে চৌকো বাস
সরল সেতুর কোলে ধনুষী নাইয়া
আর সে বয়ে যাচ্ছে এই বোঝাপড়া
আর সে নোটেশন নয়
মাপানিরের জোড়াইখানায় ফুটে ওঠা নৌকোগুলি
পাল ওড়ে, তর্জমাও ওড়ে কোনও পালক বাজিয়ে

রিকশা

ছবির জন্য যে সর্বনাম
রিনির জন্যও তাই
কি তাজ্জব, রিকশা চালককেও একই
ছবি তো রিনি নয়
মাঝে দারুন ফ্রেম কিম্বা সারারা
রিকশাও স্ট্যাচু নয়
গল্পটার শেষ কোথায় তবে
হাজারদুয়ারী নাকি লেপচা জগৎ
প্রথম প্যারা বিলম্বিত
দ্বিতীয়টি হুটারের দৌড়
গতির হেরফের রিনিতে ছিবিতে
মাঝে ধ্বনিসমগ্র এবং জানালা
লোহা পাথর কাঁসর অ্যানথেম
হাওয়ায় আকাশে সবই ছড়ানো রিকশা
এগিয়ে আসছে এবং
কার পায়ের চাপে চলে যাচ্ছে
সর্বনাম থেকে দূর সর্বনামের দিকে
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।