সমুদ্রতল থেকে উঠে আসা চোখবন্ধনী…..এখানেই লুকিয়ে আছে দৃশ্য থেকে দৃশ্যান্তরে বারমাস্যার বায়োস্কোপ…..
একটি চিঠি লিখব মনে কত আলোকবর্ষ বসে দেহাতি সুঘ্রাণে
রোজ রোজ নবান্ন কৌতুক খুঁজি রোজ রোজ চন্দ্রাহত ছল খুঁজি কোথায় বসি প্রভৃতি আমার লিখন
এই লিখি লিখি মন অধীত ইশারায় পাঁচমেশালি রাস্তা ধরি….
যদিও প্রাচীনতত্ত্ব বলে…. নিজস্ব চৌহদ্দি বোলে কিছু হয় না জানি
এখন তো মা-মাটির পথঘাট নেই এখানে আর
আছে পিচমোড়া মস্ত সড়ক সব প্রহরীর মতো ব্যস্ত বন্দেগী কোলাহলে,
জিগির তোলা বিজ্ঞাপনের অট্টালিকাগুলি আজ ঘোড়-দৌড়ের মাঠ মনে হয়…. এখানে বারবার চিত্রনাট্য রং বদলায়
এ-সব দেখে শুনে ভূল হয়ে যায় শ্লোক ইস্তাহারের সংলাপ….বড় গরম লাগে আমার সত্যিকার গরম
এখানে এতো ব্যস্তবাগীশ মানুষের ভাঙাচোরা ভিড় এতো কিরীটি লম্ফঝম্ফ ফলকে ফলকে মরিচঝাঁপি দৌড়…..সমস্ত অতীত পিছনে রেখে শরীর খুঁড়ে রেখেছি ইশারা অন্বেষণ….
সব অবান্তর ভাবনা ভেবে যাই লিখব লিখব মনে নিজস্ব মাস্তুলে বসে জরাগ্রস্ত এই নাবিক…. আমি,
চিঠি লেখা হয় না আর নিষিদ্ধ আঙুলে…..