ভাইরাসের আতঙ্কে পৃথিবী দিশাহারা। মৃত্যু নানা রাস্তায় এসে পাশে দাঁড়িয়ে থাকছে। কtখনো কোভিডের জ্বরে। কখনও না চিকিৎসা পাওয়া হৃদরোগে। আবার কখনো গভীর ঘুমের মধ্যে পিষে ছিন্নভিন্ন করে ছুটে যাওয়া রেলগাড়ীর চাকায়। ক্লান্ত পথচলা মানুষ রেললাইনকে বিছানা বানিয়েছিল কি মুর্খতার জন্যে, নাকি আর চলতে পারছিল না, কে জানে। মৃত্যু তীব্রগতিতে এসে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। ধ্বংসের দেবতা প্রলয়ঙ্কর কৃত্তিবাস পরিহিত রুদ্র আজ তান্ডবে মেতে উঠেছেন। সারা পৃথিবীতে নেচে বেড়াচ্ছে তাঁর শ্মশান কিংকরেরা।
তার মধ্যে দাঁড়িয়ে ও জীবনকে বন্দনা করি। মানুষের হয়ে প্রার্থনা জানাই পালয়িত্রী শক্তির কাছে। মৃত্যু থেকে আমাদের অমৃততে নিয়ে চল।
নির্ভয় কর। পরিচ্ছন্নতার বর্ম রক্ষা করুক প্রাণকে।
তবুও জীবন
জীবন নামের সিঁড়ি
বেয়ে ওঠা তুমি ।
জানে না আসলে মৃত্যু
তোমার
নাম ।
ঘাম ঝরা হাঁফ
রক্ত চোখের জল
হে জীবন ,
আজ তোমাকেই
সঁপলাম ।
কাচের টুকরো
ছড়ানো সিঁড়ির
খাঁজে ।
কত শত ব্যথা ।
কত হীরে চুনি
খাদ ।
যে বোঝেনা
এই ধুঁকে চলাটাই
মরণ
সেই মূর্খেরই
জুয়াচুরি পরমাদ ।
মৃত্যু , এই যে
এই খানে এসে
বোসো ।
বোসো পাশটিতে
দুটো চুপি কথা
কই ।
প্রানের , মনের
ভারি হয়ে যাওয়া
বোঝা
এসো ভাগ করি ,
বলি আজ
তোমাকেই ।
বেঁচে থাকা বড়
যন্ত্রনা ।
ঠিক কি না ?
বিশেষ যদি বা
চোখ কান
খোলা থাকে ।
ভোরের কাগজে
জীবন্ত নগ্নিকা
অথবা গাজার
ছিন্ন শিশুরা ডাকে ।
কুঁজো হল পিঠ
ভাঙতে ভাঙতে
সিঁড়ি ।
কোনায়ে কানাচে
আলো ও তো
ছিল , না কি ?
শিস দেওয়া পাখি ।
ছোট্ট নরম হাত ।
সান্ধ্য দীপের আলো তো
দেয় নি ফাঁকি ।
তবুও জীবন
তুমি হামা দেওয়া
শিশু ।
সিঁড়ির তলায়ে
তোমার মৃত্যু মুখ ।
হে জীবন
যত খানি তোর সাথে
চলা ।
ততক্ষণেরই আজব
আলেয়া সুখ ।