নান্দনিকতার দায় পাঠকের। কথার কথাই বলছি। একটা যেকোনো রান্নার রেসিপি ভেবে নিয়েই আমি তিলে তিলে তুলে নিতে পারি ঠোঁট অবধি। ওভাবে যেকেউ পারে। কিন্তু ঠোঁটের কাছাকাছি, চুপিচুপি, কানেকানে এই একঘেয়েমি কাটে এক মাত্র কথায়।
কথার বড় ভার। যদিও কথার কথা’ বলে একটা কথা আছে যা কথা চালাচালির থেকেও ভয়াবহ হতে পারে সেই কথার প্যাঁচে পড়েই। কত কথা বলতে বলতে কথক-ঠাকুর হাপিয়ে পড়লে তাকে কথার ছলে বাড়ি নিয়ে যেতে পারে যে কেউ। কলকথা থেকে কুকথা নিয়ে কথার ফুলঝুরি চলতে পারে। কথকতা আর কথার কথা – এর সাথে ভীষণ যুদ্ধে জিততে পারে তৃতীয় ব্যক্তির কথা।
কথা বড়ই ভারি, অত কথা কি আর বলতে জানি! তবে কথার দাম রাখার দায়িত্ব কিন্তু কথার নয়। অকারণে কথা দেওয়ার আমরা থেকে কথাকলি নাচ শিখি বরং।
‘কথায় কথা বাড়ে
তাই বলছি ছোট্ট করে
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার।’ (অঞ্জন দত্ত)