মেহেফিল -এ- শায়র, অয়ন সাঈদ

সুফিদের অন্তরে

জানিয়ে দেয়া হয় সমস্ত কিছুর প্রভাবমুক্তি
হয়তো অনেকে জানেই না
কেবল একগ্লাস পানি খেতে এসেছে
কিংবা দাঁড়িয়ে সিগারেট ফুঁকে হেঁটে যাবে এইখান দিয়ে তুমুল
পালকের চেয়েও হালকা জিনের কথা বলার শব্দের মতো
মনে হয় সেখানে ছিলাম, জীবনানন্দীয় ঘোর কেটে গেলে
সময়কে তার নিজের মতো চলে যেতে দেখি
সময়কে তার নিজের মতো পৃথিবীর আবহে
মেঘের গমন দৃশ্য দেখে মনে হয় আমরা ঘুরছি
মনে হয় বুকে খাঁচার ভেতর চাঁদের নহর
সূর্যকে পাক দিয়ে সুদূর পথ বয়ে যেতে যেতে
সমূহ অন্তর সুফিদের অন্তরে প্রবিষ্ট হতে জাগো
পূর্বজনদের কঙ্কাল হেঁটে প্রবৃত্তির জড়ো হয়ে আসে আচরণ
জলের আবর্তনে ঢেউয়ের পৃষ্ঠে ঢেউয়ের মতন;
বুদ্বুদ হয়ে উঠে যেতে যেতে আয়ুর ভগ্নাবশেষ এইখান দিয়ে তুমুল
সুফি’র অন্তর জাগানীয়া সত্তায় প্রলুব্ধ হতে জাগো।

সরাইখানা

যাপিত জীবনকে শিল্পীত করাই যদি এ পথ-যাপন হয়, তবে
মাতাল না হলে চলে না। প্রতিটি মুহূর্ত অথবা এক বৎসর-
সমান মুহূর্তেও কেটে যেতে পারে যুগ। এ পথ সাধনার, এ
পথ নিগূঢ় আত্মোপলব্ধি পাঠ সংশ্লিষ্টতার। এ পথে প্রাপ্তি
অতটুকুই যতটুকু খোয়া গেছে। তাই এ যাপন মূলত নিজেকে
হারিয়ে ফেলার। কিন্তু কোথায়? তারপর হতভম্ব চোখে কালার-
ব্লাইন্ড হয়ে আসে সমূহ অনুভূতি, আমি কে এই জিজ্ঞাসা তাহলে
কী কাজে আসবে। ফরম্যাট দেয়া মেমরী কার্ডের স্মৃতিগুলো মুছে
গিয়ে জমা হয় কোথায়? উত্তরে- ওমর খৈয়াম প্রশ্নগুলো কে
বাহিরে রেখে পুনরায় সরাইখানায় প্রবেশ করতে বললেন….
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।