পৃথিবীটা আজ প্রসব যন্ত্রনায় কাতর , সন্তান সম্ভবা
সূর্যটাও অস্তাচলে যেতে বসেছে , অন্ধকারের অবিরাম হাতছানি ;
এ পৃথিবী মানুষ জন্ম দেবে ! নাকি কোনো পশু !
পশুত্বে বিবেক আছে , মানুষে মনুষ্যত্বের লেশটুকুও আজ নিঃশেষ
তাই হোক পশুর জন্ম , ধ্বংস হোক এ মনুষ্য সমাজ ।
প্রমীলার পোড়া লাশ ! নাকি এ বাংলার লজ্জা !
ছিন্নভিন্ন দেহ ! নাকি এ মনুষ্যত্বের বিদায় সজ্জা !
প্রমীলারা পুড়ে যায় হেরে যায় বারবার
বিচারের কলমেতে জং ধরে শতবার ।
বনে বনে মৌচাকের অনুসন্ধান বাড়ে , দোকানীর পসরা সাজে রঙিন বাতিতে ,
আবেগে ভেসে যাওয়া মানুষের হাতে দিবালোকে প্রদীপ জ্বলে ,
কণ্ঠে শ্লোগান ওঠে আর পদধ্বনিতে কাঁপে রাজপথ ,
আটকে যায় অ্যাম্বুলেন্সের চাকা , চাপা পড়ে যায় শত কান্নার ধ্বনি ।
কিছু সময়ের ব্যবধান । আবেগের সমাপ্তি ঘটে ,
প্রমীলাদের শেষ চোখের জলে ভাঁটা পড়ে যায় ;
মানবিকতার পতন ঘটে , আর প্রসব যন্ত্রনায় পৃথিবী কেঁদে কেঁদে বলে
এ গর্ভে মানুষ নয় পশুর জন্ম হোক ।