পুরুষ ,তোমার খোঁজ আমার জন্মান্তরের ৷ তুমি মহাভারতের নায়ক , গীতার ভগবান হতে পারো , তবু স্বীকার করি আমার প্রেম তোমার ঔরসজাত ৷ বৈষ্ণব পদাবলীতে তোমার রূপের বর্ণনায় বিদ্যাপতি লিখলেন ,
করবীভয়ে চামরী গিরিকন্দরে,
মুখভয়ে চাঁদ আকাশে ৷
হরিণী নয়নভয়ে স্বরভয়ে কোকিল ,
গতিভয়ে গড়া বনবাসে ৷
গীতায় তুমি The Supreme Proprietor ৷ আমি সব ভুলে ডুবে মরি তোমার পৌরুষ ও মনের অলিগলিতে ৷ পুড়িয়ে ফেলি গীতা , বাইবেল , বেদ ৷
আমি নারী ৷ আমার ভালোবাসার নদী গর্ভবতী তোমার পরকীয়ার অন্তঃসত্ত্বায় ৷ প্রেমিক ,তোমায় ছুঁয়ে যৌনতা ও রোমাঞ্চ ভরি , তাই আমি রমণীয় ৷ তোমার বিরহে,
সতিমির রজনী সচকিত সজনী
শূন্য নিকুঞ্জ অরণ্য ৷
কলমিত মলয়ে সুবিজন নিলয়ে
বালা বিরহ বিষণ্ণ ৷
তোমার প্রেমের আর্বতে উপুড় ঝুপুড় সুখ খুঁজে ফিরে অ৷মি বহুগামী ৷ ছাপোষা দাম্পত্যের একপিঠে জ্যোৎস্না মাখা, অপর পিঠ অমসৃণ ৷এই পথেই আমার পরকীয়ায় অবগাহন ৷ আমি রাধা ৷
প্রেমিকের অনাবিল কাম , কামসূত্র গান্ধর্ব বিবাহের প৷ণ্ডুলিপির শরীর জুড়ে ৷ বসন্ত উৎসবে মিলন৷ন্ত দিনলিপি ৷ পরকীয়ায় তাইতো আমার জন্মসুখ ৷
শেষবেলায় আগুন অর্ন্তবাসের আঁচে দগ্ধ প্রেম ৷ অসমাপ্ত উপাখ্যান লিখে চলে গান্ধর্ব পুরুষ কখনো পৃথিবীর আত্মজন হয় না ৷