সেই উঠোনের আম গাছটির তলে
বিকেল বেলায় ব্যাট বলটি হাতে,
বাবার সাথে খেলতে যাবো বলে
ঘুম হতো না সারা দুপুরটাতে।
দাদা দিদি আর খেলতো যদু
প্রতি দিনই বাবা’ই যেত হেরে,
খেলতে গিয়ে আউট হতো শুধু
হাসতো বাবা হেরে যাওয়ার পরে।
আবার যখন খেতাম সবাই বসে
চুপিচুপি বাবার পাতার থেকে,
মিষ্টি টুকু নিলেই বাবা হেসে
কোলের উপর বসিয়ে নিতো ডেকে।
পুজোর সময় নতুন জামা এনে
সব্বাইকে ডাকতো এসো ঘরে
সব ঠিকঠাক হয়েছে কি না জেনে
মা কে বলতো দ্যাখোতো এটা পরে।
এমনি কতো পুজোর বাজার নিয়ে
এ সংসারের সবার কিনে পর,
পরিবারের হাসি দেখতে গিয়ে
নিজের জন্য পায়নি অবসর!
টানাটানির এমন পরিবারেও
বাবা ছিলেন বটবৃক্ষের ছায়া,
দায়িত্ব আর কর্তব্যের ভারেও
দেখেছিলেম অপার্থিব মায়া।
সকল বিপদ তুচ্ছ করে হেলায়
অহর্নিশি সংসারের এই হাল,
টানতে গিয়ে ভাঙাগড়ার খেলায়
কখন যেন কাটলো জীবনকাল!
বাবা মানে সুখে দুখে পাশে
কখনো বন্ধু কখনো অভিভাবক,
বাবা মানে যে কোন অবকাশে
জীবন পথের পথপ্রদর্শক।
বাবা মানে কর্তব্যের ভারে
সখ আহ্লাদ বিলিয়ে দিতে যাঁর,
জীবন টুকু ফুরোয় এ সংসারে
সে যে বাবা; নেই তুলনা তাঁর।।