• Uncategorized
  • 0

দৈনিক ধারাবাহিক উপন্যাসে মৃদুল শ্রীমানী (পর্ব – ৫৭)

পর্ব – ৫৭

কলেজে গিয়ে শ‍্যামলী দেখল সেখানে আন্তঃজেলা বক্তৃতা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠান হয়েই পুজোর ছুটি পড়ে যাবে। জগজ্জননী মা আসছেন। অনুষ্ঠানে র সূচনায় মাতৃবন্দনা গান হচ্ছে। বক্তৃতা প্রতিযোগিতার বিষয় হল “শুধু মাতৃত্বে নারীরা সীমিত থাকবে না”। প্রিন্সিপাল ম‍্যাডাম শ‍্যামলী কে কাছে ডাকলেন।  বললেন, “অনেকদিন তোমাকে দেখি না। ক্লাস করেই বাড়ি চলে যাও বোধ হয়।”
শ‍্যামলী মাথা নিচু করে বলল, বাবা অসুস্থ। আমাকে কারবার দেখতে হয়।
তা বাবার পাশে মেয়েদের দাঁড়াতে হবে বৈকি। আজকের বক্তৃতার বিষয়টা খেয়াল করেছো তো। সেরা প্রাইজটা আমাদের কলেজের হয় যেন।
শ‍্যামলী বলল, “আমি শুরুটুকু দেখে চলে যাব। আমার ওদিকে অনেক ঝামেলা পড়ে আছে।” শ‍্যামলীর মাথায় ছিল পুজো এসেছে বলে কোর্ট বন্ধ হয়ে গেলেও অ্যডভোকেট অনসূয়া চ‍্যাটার্জির কাছে একবার পরামর্শ করে নেবে। এখন তার অন‍্যদিকে মাথা ঘামানোর সময় নেই।
প্রিন্সিপাল ম‍্যাডাম বললেন, “কলেজের অনুষ্ঠান কি তোমার‌ও অনুষ্ঠান নয়?”
এর উত্তর সহসা মুখে যোগালো না শ‍্যামলীর। সে অনিচ্ছুক একটা মন নিয়ে বসে থাকতে বাধ্য হল। ঠিক করল এই সব বিষয় নিয়ে নিজেকে সে মোটেও ব‍্যস্ত করবে না। অনুষ্ঠানের মাঝামাঝি চুপিসাড়ে সরে পড়বে ভেবে রাখল শ‍্যামলী।
 বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় আশেপাশের এলাকার মহিলা কলেজের ছাত্রীরাই এসেছে। পুরুষ ছাত্ররাও এসেছে। তবে তারা এসেছে অনেকটাই কৌতূহলবশতঃ। বিভিন্ন কলেজ থেকে আগত প্রতিযোগিনী মেয়েদের সাথে তাদের কলেজের শিক্ষিকারা এসেছেন। মেয়েদের হাতে তাড়া তাড়া নোটস, খবরের কাগজের কাটিং। শেষ মুহূর্তে তারা বিড়বিড় করে নিজেদের পয়েন্টগুলি আওড়াচ্ছে।
মাঝে মাঝেই তাদের মেন্টররা তাদের কানে কানে কিছু একটা বলে দিচ্ছেন। এর মধ‍্যেই শ‍্যামলীর নিজের কলেজের মেয়েরা দলবেঁধে দেশমাতৃকার উদ্দেশে কিছু সঙ্গীত পরিবেশন করছে। অনুষ্ঠানের পরিবেশ আর পাঁচটা জায়গায় যেমন হয়, এখানেও তাই। স্বেচ্ছাসেবিকা ব‍্যাজ লাগিয়ে কয়েকজন মেয়ে অনর্থক দৌড় ঝাঁপ করে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। গানের দলের সদস্যাদের কণ্ঠ সম্পদ ভালো হলেও গানগুলির বাণী যে তারা খুব পৌঁছে দিতে সক্ষম হচ্ছে, তা মনে হল না শ‍্যামলীর। শুধু মনে হল, এত আয়োজন, আর সে কিছুই জানত না। নিজেকে নিজের কলেজে বাইরের লোক মনে হচ্ছিল তার।
স্বাগত ভাষণ দিতে উঠে প্রিন্সিপাল ম‍্যাডাম অনুষ্ঠানের মূল সুরটা বেঁধে দিলেন। শারদীয়া পূজা উপলক্ষে তিনি দেবী দুর্গার অসুরদলনী রূপের কথা বললেন। তার সাথে রাবণ বধে রামের তরফে দেবীর আশ্রয় নেবার কথাও বললেন। তিনি বারবার করে ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ভূয়সী প্রশংসা করলেন। আর বললেন কিভাবে কত সাহসের সাথে তিনি শিখ ধর্মস্থানে সেনা অভিযান চালিয়ে সন্ত্রাসবাদ দমন করেছিলেন। তারপর খুব আবেগের সাথে বললেন, খাদ‍্যাভাব প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক এক সভায় শ্রীমতী গান্ধী না কি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি কবিতা বলে বিশ্বনেতাদের সকলকে চমকে দিয়েছিলেন। তারপর আবেগঘন কণ্ঠে রবিঠাকুরের বিখ্যাত কবিতাটির দুটি পংক্তি স্মৃতি থেকে বললেন, “কাঁদে যারা খাদ‍্যহারা, আমার সন্তান তারা…”
প্রিন্সিপাল ম‍্যাডামের বক্তব্য মোটেও ভালো লাগে নি শ‍্যামলীর। বিশেষতঃ ধর্মস্থানে অপারেশন ব্লু স্টার নাম দিয়ে সেনাবাহিনীর অভিযান রাষ্ট্রের অনুগত শিখদেরও দারুণ ভাবে ব‍্যথিত করেছে বলেই জানে শ‍্যামলী। আর পূর্ব পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধে খানসেনারা পরাজিত হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ জন্ম নিলেও শুরু থেকেই তারা ভারতকে সন্দেহের চোখে দেখে। একাত্তরের পর থেকে আজ বারো বছরের বেশি সময় ধরে সম্পর্কের বিশেষ উন্নতি ঘটে নি। সীমান্ত নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের সাথে ভারতের সম্পর্কের অনেক টানাপোড়েন চলছে। কিন্তু এ নিয়ে কিছু বলার অবকাশ এখানে নেই বলেই শ‍্যামলী ভিতরে ভিতরে অস্থির হয়ে উঠলেও বাহ‍্যতঃ চুপ করেই বসে র‌ইল।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে যিনি এসেছেন, তাঁর পরিচয় দেওয়া হল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বিজ্ঞানী হিসেবে। তিনি তাঁর আলোচনায় দেবী দুর্গা কিংবা প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর একটুও প্রসঙ্গ আনলেন না। তিনি প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, বীণা দাশগুপ্ত কিংবা মাতঙ্গিনী হাজরার কথাও বললেন না। তিনি মেয়েদের বেশি বেশি করে বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশুনা করতে বললেন। আর বললেন একটা সমস্যা থেকে মুক্তির পথ খুঁজে পেতে হলে বিজ্ঞানের পথেই তা হতে হবে। অন‍্য কোনো পথেই তা হবার নয়। সমাজে মেয়েদের অবদান, আর মেয়েদের সম্মান রক্ষা করার পদ্ধতি নিয়ে তিনি একটি বাক‍্য‌ও খরচ করলেন না।  শ‍্যামলী বেশ অবাক হয়ে লক্ষ্য করল কলেজ শিক্ষকদের আসন থেকে সৌজন্যবশতঃ সামান্য দু চারটা তালি  পড়লেও, গোটা হলঘর র‌ইল নিশ্চুপ।
এবার শুরু হল বক্তৃতা প্রতিযোগিতা। সূচনাতেই বলে দেওয়া হল, আলোচ‍্য বিষয়ের মধ‍্যে বক্তব্য সীমিত রাখতে হবে। আর সময় শেষ হবার এক মিনিট আগে একটা ঘণ্টা পড়বে। চূড়ান্ত ঘণ্টা পড়ার পর আর বলা যাবে না।
প্রথমেই বলতে উঠল একটি ছেলে। বেশ ভাবে ভোলা চেহারা তার। কণ্ঠটি বেশ মাধুর্যপূর্ণ। সে মা আর দেশমাতা এই দুই বিষয় নিয়ে বলতে বলতে রবিঠাকুরের স্বদেশ পর্যায়ের যেসব গানে মা বা মাতা শব্দটি রয়েছে তার একটি দুটি চরণ গেয়ে শোনালো। বুঝিয়ে দিল যে সে গান ভাল‌ই গায়। কিন্তু বিষয়ের গভীরে ঢোকার সামর্থ্য যে তার নেই, এটাও সবাই বুঝতে পারল।
মেয়েদের তরফে এক এক বক্তা উঠে মাদাম কুরি, মেরিলিন মনরো, রোজা লুক্সেমবার্গ, ভ‍্যালেন্তিনা তেরেসকোভা, বিজয়লক্ষ্মী পণ্ডিত, লক্ষ্মী সেহ্গল, সরোজিনী নাইডু, মার্গারেট থ‍্যাচার, সিরিমাভো বন্দরনায়েক, বেনজির ভুট্টো এবং মহাশ্বেতা    দেবীর প্রসঙ্গ আনল।
আলোচনার সূত্রে উপন্যাসের চরিত্র হিসেবে আনা কারেনিনা, এমনকি লেডি চ‍্যাটারলি পর্যন্ত উঠিয়ে নিয়ে এল মেয়েরা। দু একটি মেয়ে লেডি অবলা বসু ও ভগিনী নিবেদিতার প্রসঙ্গে কিছু তথ‍্য সমৃদ্ধ কথা বলল। একজন বলল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে উৎসাহিত করতে তাঁর নতুন বৌঠানের কথা। সুভাষচন্দ্র বসু যে মেয়েদের নিয়ে ঝাঁসি কি রাণি বাহিনী নামে সৈন‍্যদল গড়েছিলেন, একথা উঠে এল অনেক বার। সবশেষে আয়োজক কলেজের ছাত্রীরা বলার সুযোগ পাবে এটা আগে থেকেই ঘোষণা করা ছিল। কলেজের তিনটি বর্ষের ছাত্রীদের তরফে মোট তিনজন বলবে বলে ঘোষণা করা হল। সবার প্রথমেই শ‍্যামলীর নাম ঘোষণা করা হল। সঙ্গে সঙ্গে কলেজের মেয়েরা উচ্ছ্বসিত হয়ে হাততালি দিয়ে উঠল। শ‍্যামলী দাঁড়াল। বহিরাগত সকল ছাত্র ছাত্রীদের নজর তখন শ‍্যামলীর উপর। কে এই শ‍্যামলী? যার নাম ঘোষণা হতেই সবাই হাততালি দিয়ে ওঠে।
শ‍্যামলী হাত জোড় করে বলল, আমি আজ একেবারেই প্রস্তুতিবিহীন। অন‍্য দুই ছাত্রী আগে বলুন। আমি একেবারে শেষে এক মিনিট বলব।
শ‍্যামলীর শিক্ষক করবী মিত্র রেগে গিয়ে বললেন, উঠে আয় বলছি। প্রিন্সিপাল তাঁকে আটকালেন। বললেন, শ‍্যামলী বলবে না তা তো বলে নি। ও শেষেই বলুক।
শ‍্যামলী বলতে ওঠার সময় কলেজের মেয়েরা চেঁচিয়ে বলল, শ‍্যামলী তুই ভ‍্যালেন্তিনা তেরেসকোভা কে নিয়ে বল্। কেউ বলল সিমোন দ‍্য বুভুয়াকে নিয়ে বল্। পিছন থেকে কে একজন বলল ক্লারা জেটকিন আর স্ক্রুপস্কায়াকে নিয়ে বলো।
 শ‍্যামলীর চোখ দেখে বোঝা গেল সে নিজের সঙ্গে নিজে কথা ক‌ইছে। শ‍্যামলী বলল,
“শুধু মাতৃত্বে নারীরা সীমিত থাকবে না, এই রকম একটা শিরোনাম আমার কাছে  একান্ত ভাবে খণ্ডিত,  দারুণ অসম্পূর্ণ ও নিতান্তই অগভীর বলে মনে হয়েছে। “
গোটা হল শ‍্যামলীর প্রথম বাক‍্যেই স্তম্ভিত। কী বলতে চায় ও মেয়ে?
শান্ত, ধীর লয়ে শ‍্যামলী বলতে থাকল,
“নারী আমাদের মানুষী সমাজে শিশুর জন্ম দেয়। এটা একটা সাধারণ নিয়ম। আমরা সভ্যতার আগে থেকেই গুহার কোটরের দিন থেকেই এটা দেখে আসছি, শুধু তাই নয়, হোমো সেপিয়েন্স চেহারাটা নেবারও আগে থেকে, এমন কি আমাদের প্রাইমেট পূর্ব পুরুষেরও আগে থেকে, স্তন্যপায়ী প্রাণী থেকেই স্ত্রীলিঙ্গ যুক্ত প্রাণী গর্ভধারণ করে, প্রসব করে, স্তন্যদান করে। শিশু পালনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটা সাধারণ নিয়ম। দৈবাৎ ব্যতিক্রম যে থাকে না, এ কথা বলব না। কিন্তু সাধারণ নিয়ম এটা।
সুতরাং নারী জন্মের সাথে “বাচ্চার জন্ম দেওয়া” কে কেউ ওতপ্রোত ভাবে জড়িত করে দেখলে সেটাকে খারাপ বলি কি করে? প্রকৃতি তো নারীর শরীর বিন্যাসে মাতৃত্বের কাঠামো দান করেছেন। পুরুষ কঙ্কালের তুলনায় নারী কঙ্কালের গঠন বিচার করে দেখুন, নারীর বুকের খাঁচা প্রশস্ত। কেন না, তাকে স্তন্য দান করতে হয়। আর পেলভিক অস্থিবিন্যাস লক্ষ্য করুন। প্রসব করার সুবিধার্থে সেখানেও প্রশস্ত দুয়ার বর্তমান।
নারীর হরমোন এবং গ্রন্থি বিন্যাসে মাতৃত্বের হাতছানি। নারীর দেহত্বকের নিচে স্নেহপদার্থের বিন্যাস তার শরীরে সুগোল পেলবতা নমনীয় সৌন্দর্য দিয়েছে, শিশুর নরম কোল তৈরির জন্যে। নারীর মানসিকতাতেও সন্তানের দায়বহনের ছাপ।
সুতরাং যাকে প্রকৃতি এতভাবে বিকশিত করেছেন সন্তানের গর্ভ ধারণ করতে, প্রসব করতে আর পালন করতে, এবং সেটা আজ হঠাৎ নয়, বহু লক্ষ বছর ধরে, সেখানে এক কথায় “বাচ্চার জন্ম দেওয়া” নারীত্বের সার্থকতা নয়, এটা বলা ঠিক হবে না।
ছোট শিশু কেঁদে উঠলে মায়ের স্তন্যে সে শান্ত হয়। মা তার স্তনবৃন্ত শিশুমুখে গুঁজে দিলে ভীত শিশু ক্রমে শান্ত হয়। আর সন্তানের জন্মসূচনায় স্তন্যপায়ী স্ত্রী প্রাণীর স্তনে দুধের সঞ্চার হয়। অন্য সময় দুধ থাকার কথা নয়। সুতরাং স্তনকে মাতৃঅঙ্গ বলে চিহ্নিত করলে কোনো সমস্যা নেই। অন্তত শিশু কোলে মা প্রকাশ্যে স্তন্যপান করালে আলোকপ্রাপ্ত মানুষ তাকে যৌন প্রদর্শনী মনে করে না। মনে করে, মা তার পবিত্র দায়িত্ব পালন করছেন। তাই মায়ের কোলে শিশু একটা যুগ যুগ ধরে পবিত্র বন্ধন। অতল অপার মাতৃস্নেহ পারাবার।
আমার বন্ধুরা কেউ কেউ রামকৃষ্ণ পরমহংসের স্ত্রী , সংঘজননী সারদা দেবীর কথা এনেছেন। তাঁর বায়োলজিক্যাল বেবি ছিল না। কিন্তু তিনি মা হিসাবে পূজিতা। শুধু সারদা দেবীই বা কেন, এমন অনেক মানুষ আছেন যাঁরা নিজের সন্তান ছাড়াও অন্যের সন্তানকে মাতৃস্নেহ দিয়েছেন । শরৎচন্দ্রের সাহিত্য যারা পাঠ করেছেন, তারা এই রকম মায়ের কথা জানেন।
শুধু সাহিত্যই বা বলি কেন, ভারতীয় বিবাহ বিচ্ছেদ আইন পড়তে গিয়ে দেখছি, আইন বলছেন শিশুরা মেয়েদের কাছে ভাল থাকে।
তাহলে, শরীরে মা না হলেও মেয়েদের শারীর মানসিক কাঠামোয় কিছু একটা থাকে, যা শিশুদের সুবিধাকর। মেয়েদের ব্যক্তিত্ব শিশুর পক্ষে সুখকর।
আমি বলব এক রাজার কথা; যিনি বলেছিলেন “সব মুনিসে পজা মমা”, সকল মানুষ আমার সন্তান। তিনি রাজা প্রিয়দর্শী অশোক। সন্তানের জন্ম না দিয়েও পুরুষ অশোক সন্তানের কথা ভেবেছেন। আর বলবো রবীন্দ্র কবিতার সেই ভিক্ষুণীর অধম সুপ্রিয়ার কথা, যে বলেছিল, “কাঁদে যারা খাদ্যহারা, আমার সন্তান তারা …”। সন্তান বলে অন্য মানুষকে ভাবতে পারাতেই মানব জন্মের, শুধু মেয়েজন্মের কথা বলছি না, মানবজন্মের সার্থকতা বলছি।”
শ‍্যামলীর কথা শেষ হলে কোনো হাততালি পড়ল না। শুধু প্রধান অতিথি এগিয়ে এসে তাকে জড়িয়ে ধরলেন।

ক্রমশ…

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *