• Uncategorized
  • 0

কবিতায় রাজীব সিংহ

সাঁওতাল পরগণায় একটি সন্ধে

পাহাড়ি টিলা আর শালবনের ঘন জঙ্গলে গড়িয়ে গড়িয়ে নামছে চাঁদ৷ জ্যোৎস্নার নিবিড় বিস্তার৷ শেষ-ট্রেন চলে গেছে৷ হাটের গভীরে ফুলুরি জিলিপি আর মহুয়ার গন্ধ৷ শালপাতায় মোড়া উঁচুনিচু পথ দিয়ে গড়িয়ে যায় হেডলাইট লাগানো সাইকেল৷ এখানে তীব্র এখন হ্যাজাকের আলো৷ বাদামি৷ ইঙ্গিতপ্রবণ৷ ফুলকপি, রাঙালু, বরবটি, শাকালুদের ঝুড়িতে উড়ে বেড়াচ্ছে জোনাকির আলো৷ শীতের তীব্রতা হাটুরেদের ফিরতি পথে তীব্রতর আরও৷ মিস্রাজীর সঙ্গে সাউজীর তুমুল আড্ডা৷ দড়ির খাটিয়ায় রাত বাড়বার সঙ্গে সঙ্গে রেডিওয় তুলসিদাসী ভজন ৷ বিনাকা গীতমালায় ঝুমরিতালাইয়ার অনুরোধে গান বাজছে, মোহে আঈ না জগসে লাজ…৷ নিলাজ সেই নারীর মতোই এখন পাহাড়ের এ প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে খাটো ডুরে কাটা শাড়ি পাথরে খোদাই সেই নারীমূর্তির রক্তে মাংসে কামোন্মাদ এক পশুকে ডুবে যেতে দেখছে বালক৷ সমস্ত ‘জগ’ তখন দিশাহারা৷ পাহাড়ের মতো সেই পাথুরে শরীরে তখন জ্যোৎস্নার নগ্ণ আলো চুঁইয়ে চুঁইয়ে নামছে৷ মাঘের অপ্রতিরোধ্য শীত তখন মহাশূণ্যে ইশারাপ্রবণ৷ ছোট্টো রেলস্টেশনের পাশে কনভেয়র বেল্ট জড়ানো দানবীয় যন্ত্রদুটি প্রবল শব্দে তখনও কুচি কুচি করে দিচ্ছিল কালো পাথরের রক্ত, মাংস
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।