বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে । বইয়ের পাতা উলটে যাওয়ার মতো অনিশ্চিত রাত। হাওয়া উঠছে, আলো নিভছে, আলো ফুরিয়ে আসছে। ছোটবেলায় মোমবাতির শিখাটি দমকা হাওয়ায় নিভে গেলে খুব ভয় লাগতো, এখন উদাসীনতা ভর করে।ভর করে থাকে নির্জনতার স্বগত কথোপকথন। রাজাও আমি, রাণীও আমি।
বাজ পড়ার শব্দ এলো খুব কাছেই। তখন তুমি আমার কানে।”বলো সখী বলো; তারি নাম”।
বান্ধবী হিংসে করে আমার জল থৈ থৈ ভালোবাসাকে। একাকীত্বের মধ্যে খলখলিয়ে হাসে কে। অদৃষ্ট না নিয়তি বোঝার আগে তীব্র বিদ্যুতের ঝলকানি।আকাশ জুড়ে ললাট লিখন কেঁপে কেঁপে ওঠে।
দরজা বন্ধ করে দিই।
ঘরের মধ্যে খাটের উপর একটা দীঘি এঁকেছি। পাড় আছে তার। বাঁধানো। ওর পাশে বসে ঢ্যাঙা তালগাছের মাথায় সূর্য টা দেখে, আমি ও সে হঠাৎ ডানা মেলে উড়ে যাচ্ছি। রঙিন প্রজাপতি দুটি যেন।
বাইরে বাজ পড়ে।
ভিতরে দীঘি। দীঘির ভিতরে টলটলে জল। তালগাছের মাথায় সূর্য।
আর অনেক উপরে উড়ে চলা প্রজাপতিযুগল।
মাঝখানে একটা দরজা। ওপারে ঝড় আর এপারে ভিজে মাটির অনন্ত স্পর্ধা।