মা’র আঁচল ধরে পরিমলদার বাড়ীতে আমার ছোটবেলা থেকেই যাতায়াত ছিল আর তার চেয়েও বেশি যেটা ছিল সেটা হল তাদের সাথে আমাদের অন্তরঙ্গতা। আমার মা’র সাথে পরিমলদার মা অর্থাৎ রমাবৌদির বিশেষ এক সদ্ভাব ছিল। মা রমাবৌদি ডাকতেন বলে আমরাও ওনাকে রমাবৌদি বলেই ডাকতাম। তবে অবশ্যই সামনে নয়, আড়ালে। আসলে ওদের সব ঘটনাই আমার জানা ছিল। শুধু জানতাম না জয়ন্তীর কথা। দমদম ক্যান্টনমেন্ট থেকে পরিমলদার ওই চঞ্চলা কিশোরী বোনজি কবে হঠাৎ আগরপাড়ায় এলেন সে কথা আমি জানি না। তিনি আসতেন মাঝে মাঝেই ছুটিতে। আর আসতেন গ্রীষ্মাবকাশে, দুর্গাপূজায় আর শীতের ছুটিতে। উনি যখন ক্লাস নাইনে তখন থেকেই তার সঙ্গে আমার আলাপ। দমদম গার্লস স্কুলের চৌহদ্দি ছেড়ে কেন যে উনি মাঝে মাঝেই আগড়পাড়ায় আসতেন সেটা আমার জানা ছিল না। তবে শুনেছি উনি মাত্র চোদ্দ বছর বয়সেই জীবন সঙ্গী খুঁজতে বেরিয়ে পড়েছিলেন।
একদিন পরিমলদার বাড়ি থেকে মা আর আমি ফিরছি, হঠাৎ ওদের জানলার ফাঁক থেকে একটা কাগজের খাম উড়ে এসে পড়ল। মা ব্যাপারটা অত খেয়াল করেন নি। আমি পা চুলকানোর নাম করে মা কে এগিয়ে দিয়ে কাগজটা কুড়িয়ে নিলাম।
নাম ধাম কিছুই লেখা নেই, শুধুই লেখা ছিল ‘গোপন কথাটি’। গোপন কথা মানে কার গোপন কথা? আমার না যে পাঠিয়েছে তার? কিছুক্ষণের জন্য ঘাবড়ে গেলাম। মা কে বললাম একটু দাঁড়াও তো। বড্ড জোরে হোঁচট খেয়েছি। মা আবার চিন্তিত হয়ে বলে উঠল কি রে ব্যথা লাগেনি তো? আমি বললাম না গো না, আরে দাঁড়াও তো কিচ্ছু হয় নি। এই ভাবে দু-এক মিনিট থমকে দাঁড়িয়েছিলাম। একবার ভাবলাম মা কে বলি। কিন্তু কে যেন অদৃশ্য ভাবে আমাকে সাবধান করে বলল, কাউকে বলিস না। চারিদিকটা একবার চেয়ে দেখলাম। শুধু ওদের গেটের কাছে খাঁচার মধ্যে একটা টিয়া ছাড়া আর কেউ দেখেনি। মা কে আড়াল করে দৃষ্টিটা ওদের জানালার দিকে ফেরাতেই দেখলাম জানালার কোণের দিকে এক হাসিখুশি কিশোরী তাকিয়ে মিচকি মিচকি হাসছে।
তবে কি যেন বলতে গিয়ে ও মা-কে দেখে লুকিয়ে পড়েছিল। তবে ওর হাবে ভাবে বুঝতে পেরেছিলাম, চিঠিটা জয়ন্তীর’ ই লেখা।
বাড়ীতে এসে মা-কে এড়িয়ে কোনোমতে নিজের ঘরে ঢুকে চিঠিটা একবার নয় বারবার পড়লাম। চিঠির ভাষায় সে প্রধান লাইনগুলো ছিল “তোমার সঙ্গে দেখা হবার পর থেকেই আমার নিজের মধ্যে একটা পবিত্রতার স্পর্শ ও বোধ পেয়েছি। তুমি আমার জীবনকে স্নিগ্ধ করে দিতে পারো। আমি তোমাকে জানি আর তোমাকে দেখেই তোমাকে সম্পূর্ণ জেনেছি। মানুষ চিনতে আমার কখনো ভুল হয় না,”….ইত্যাদি। কিছুটা উচ্ছ্বাস, কিছুটা আবেগ ছিল জয়ন্তীর চিঠিতে। চিঠিটা পড়ে ভালও যেমন লেগেছিল, ভয়ও তেমনি পেয়েছিলাম। সব চাইতে আশ্চর্য হয়েছিলাম এই ভেবে, যে রাজকন্যার বজরায় চড়ে জীবন সমুদ্রে পারি দেওয়ার কথা তাকে নিয়ে ডিঙি নৌকায় কিভাবে জীবন সমুদ্র পার করব। জয়ন্তী চিঠির উত্তর চেয়েছিল কিন্তু লজ্জায় হোক বা ভয়েই হোক আমি সে চিঠির উত্তর দিতে পারি নি।
ধীরে ধীরে আলাপ আরও ঘনীভূত হয়ে উঠল। ওদিকে নেতাজী স্কুলের পিছনের বড় পুকুরে মাছ ধরার জন্য কমল ঘোষের একটা ডিঙি নৌকা ছিল। স্কুল ছুটির দিন আমরা বন্ধুরা ওই নৌকাতে চড়ে পুরো পুকুরটা ঘুরে বেড়াতাম। আর ওই পুকুরঘাটের কাছেই ছিল জয়ন্তীর মামাবাড়ি। কি কারণে জানিনা, ও কি কাজে এসেছিল পুকুর ঘাটে। আমাদেরকে নৌকায় চড়তে দেখে ও দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরের দিনই আমার সাথে দেখা করে আমাকে বলে, ও নাকি আমার সাথে একদিন নৌকায় চড়বে। আমি লজ্জায় কিছুতেই ব্যাপারটায় রাজি হই না। জয়ন্তী একদম জেদ ধরে বলে, ‘আমি নৌকা চড়বোই’। ব্যাপারটা আমার বন্ধুদের জানাই। বন্ধুরা মজা ওড়াবার জন্য বলে, রাজি হয়ে যা। বন্ধুরা পরে জয়ন্তীর সঙ্গেও কথা বলে একটা প্লান বাতলায়। ‘নৌকাবিলাস’ খেলার। আমি আর জয়ন্তী বিয়ের জোর আর বেনারসি পরে নৌকায় বসে থাকব আর আমার দুই বন্ধু নৌকা চালাবে। আমি রবিঠাকুরের কবিতা পাঠ করব আর জয়ন্তী রবীন্দ্রসংগীত গাইবে। জয়ন্তী ভাল গান গায় সেটা জানতাম কিন্তু এভাবে যে জয়ন্তী ওদের প্লান-এ রাজি হয়ে যাবে সেটা জানতাম না। পরের দিনই ছিল পঁচিশে বৈশাখ। ওই দিনটাকে কাজে লাগানোর জন্য জয়ন্তী মরিয়া হয়ে উঠল। প্রতিবছরেই ওই দিনটাতে যুগবাণী ক্লাবে রবীন্দ্র জয়ন্তীর অনুষ্ঠান হয়। সন্ধ্যায় অনুষ্ঠান, আর জয়ন্তী সেই সুযোগে বেনারসি শাড়ি পরে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে গেল অনুষ্ঠানে অংশ নেবে বলে। আমাকে আগেই বলে রেখেছিল দুপুর বেলা পুকুর পাড়ে রেডি হয়ে আসতে। আমিও অন্য বন্ধুর বাড়ি থেকে বিয়ের জোড় জোগাড় করে সেটা পরে ভর দুপুরবেলা পুকুর পাড়ে চলে এলাম। দুই বন্ধু আগেই পৌঁছে গিয়েছিল। শুরু হয়ে গেল নেতাজি স্কুলের পিছনের পুকুরে কমল ঘোষের নৌকা নিয়ে নৌকা বিহার খেলা। বাকীটা সব ইতিহাস।
জীবনে বহু ঘটনা শুনেছি কিন্তু মাত্র পনের বছর বয়সে রাধা-কৃষ্ণের মত বেনারসি-জোড় পরে পুকুরে নৌকা বিলাস খেলা আজ অবধি শুনিনি। যেটা বাস্তবে নিজেকেই সে ঘটনা ঘটাতে হল।
ধীরে ধীরে জয়ন্তী আমার উপরে ভালবাসার জাল বিস্তার করতে লাগল। আগে তবুও একটা সংকোচ ছিল এখন যেন লজ্জা ভয় ভুলে একেবারে ঝাঁপিয়ে পড়ল। তবে ওই রাজকন্যার জীবন সমুদ্রে তরী বাইতে পারব না বলে আমিও নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলাম। কারণ আমার ক্ষমতা আমি জানি, জয়ন্তীকে ভাঙা ডিঙি নৌকায় বসিয়ে বজরার স্বপ্ন দেখাতে পারব না। তবে ওই প্রাণচঞ্চল কিশোরীকে কোনোদিনই ভুলব না। জয়ন্তী আমার জীবন নাট্যমঞ্চে শুধু উঁকি দিয়েই সরে গিয়েছিল, সেরকম গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকায় অংশগ্রহণ করার অবকাশ পায় নি তবু এক অনন্য ভূমিকা রেখে গেছে আমার কাছে। সে আমার ভোরের আকাশের শুকতারা। তার স্নিগ্ধ জ্যোতিতে আর রাজকন্যার জীবন নদীতে আমার ভাঙা ডিঙি নৌকা বাইতে পারিনি বটে তবে জয়ন্তীর ভালবাসায় আমার জীবনে এক আলাদা ভালবাসার স্বাদ এনে দিয়েছিল। সেদিন আমার আমিকে আমি খুঁজে পেয়েছিলাম জয়ন্তীর ভালবাসায়। আমার শৈশব থেকে কৈশোরে পা বাড়ানোর পথে ভালবাসা কি, ও তার কি প্রয়োজন বুঝিনি বা বুঝতে পারি নি, আর জয়ন্তীই বা কি চেয়েছিল আর কি পেয়েছিল জানি না, শুধু এটুকুই জানি আমার সুখে সে সুখী হতো আর আমাকে না পাওয়ার ব্যথায় জয়ন্তী আমার বন্ধু লাল্টুর কাছে লুকিয়ে লুকিয়ে কেঁদেছিল।
জয়ন্তী কোনও ছুটিতেই দমদমে থাকত না। সব ছুটিতেই আগড়-পাড়ায় মামা বাড়ীতে চলে আসত। এমনিতেই সরস্বতী পূজোর সময় আমি খুব ব্যস্ত থাকি। একদিকে স্কুলের পূজো অন্যদিকে ক্লাবের পূজো। জয়ন্তীও সেই সময় এসে হাজির। রাত জেগে প্যান্ডেল সাজাবো বলে প্লান চলছে আর বেশ ঠাণ্ডাও পড়েছিল। জয়ন্তী আমাকে দেখে সটান বাড়ী গিয়ে একটা গরম চাদর নিয়ে এসে আমার গায়ে পরিয়ে দিল। পরিয়ে দেওয়ার সময় বলল বেশি স্মার্ট হওয়ার চেষ্টা কোরও না এটা গায়ে দিও। আর যদি না গায়ে না দাও আমার মাথার দিব্যি রইল,…। আর তোমার যদি ঠাণ্ডা লেগে জ্বর হয় তখন কি হবে বলো তো? আমার আর দমদমে ফেরা হবে না। আমি ওর দমদমে না ফেরার ভয়ে সারারাত চাদর গায়ে দিয়ে রইলাম।
একবার আমার সত্যি সত্যিই আমার জ্বর হলো। জয়ন্তী আবার তখন আগড়পাড়ায় ছিল। দাদারা সকাল সকাল, অফিস বেড়িয়ে যেত। মা-ও বাইরে খুব একটা বেরোতেন না। অনেক রাত্রে তারা বাড়ীতে ফিরত। অধীরবাবুর সেই ভাঙা টালির ঘরে কুপীর আলোয় আমি আর মা। পরিমলদার বাড়ি থেকে আমার পথ্য সরবরাহের ব্যবস্থা হয়েছিল জয়ন্তীর আগ্রহেই। দু-বেলা নিয়ম করে আমাকে দেখে যেত আর মা’র আড়ালে একটু সেবাযত্নও করত। আর, ম্যাট্রিক পাশ করার পরেই ওর বাবার চাকরির ট্রান্সফারের জন্য জয়ন্তীও নর্থ-বেঙ্গল চলে গেল। কিন্তু, তবুও সে আমার জীবন থেকে একেবারে বিদায় নিলো না। চিঠিপত্র নিয়মিত আসত। আর আসত আমার জন্মদিনে একটা শুভেচ্ছা।
কলকাতা থেকে নর্থ বেঙ্গলে জয়ন্তীর বিদায় নেবার সময় ওর সাথে আমার আর দেখা হয়নি। বি-এ পড়ার সময় ওর বিয়ে হলো এক ইঞ্জিনিয়ার পাত্রের সঙ্গে।
প্রায় বছর দশেক পর রংপো গিয়েছিলাম প্রজেক্টের অডিটের কাজে। দু-দিন পরে কলকাতার পথে শিলিগুড়ি ফিরছিলাম। হঠাৎ কিছুটা আসার পর সেবক রোডের প্রায় কাছাকাছি এসে দেখি রাস্তা তৈরির কাজ চলছে। আমাদের কোম্পানিই সেই কাজটা করছে। ক্রেন মার্চ করছে, আর পাহাড় কেটে রাস্তা তৈরি হচ্ছে বলে গাড়ি ছাড়তে প্রায় ঘণ্টা খানেক সময় লাগবে। লাইন দিয়ে রাস্তার আপ ও ডাউনে গাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে। দূরে দেখি এক ইঞ্জিনিয়ার সাহেব দাঁড়িয়ে রয়েছেন আর তাঁর পাশে গোল হয়ে ড্রয়িং হাতে আরও দু-তিন জন জুনিয়র স্টাফ দাঁড়িয়ে রয়েছেন।
ভাবলাম যাই গিয়ে গিয়ে একটু আলাপ করি। সিকিউরিটিকে নিজের পরিচয় ও আইডি কার্ড দেখিয়ে সাহেবের সাথে দেখা করতে গেলাম। আরে মুখ ফেরাতেই দেখি এ যে আমাদের কুশল দা। মানে কুশল সেন। আগে আমরা একসাথে বজবজ থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্টে কাজ করেছি। আমাকে নিয়ে ওনার পোর্টা কেবিনের অফিসে নিয়ে গেলেন।
চা খেতে খেতে অনেক সুখ দুঃখের কথা হলো। বললেন আমি বিয়ে করেছি। বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্যে ব্যস্ত হয়ে উঠলেন। কোনোমতে সে যাত্রায় রক্ষে পেলাম।
মাস তিনেক পর আমরা সাত বন্ধু মিলে দার্জিলিং বেড়াতে গিয়েছিলাম। মনে মনে প্লান করে নিয়েছিলাম দার্জিলিং থেকে ফেরার পথে কুশলদার সাথে দেখা করব। দার্জিলিং থেকে ফেরার পথে কুশলদার প্রজেক্টে এলাম। কুশলদা আমাকে দেখে একেবারে চমকে গেলেন। কুশলদা সাইটেই ছিলেন। সাইট থেকে আবার পোর্টা কেবিনের অফিসে নিয়ে গিয়ে সব বন্ধুদের সাথে আমাকেও কফি খাওয়ালেন। কফি শেষ হতে না হতেই কুশলদা আমার উপর চড়াও হয়ে বললেন, কোনো কথা শুনব না আজ আমার বাড়ীতে যেতেই হবে। কাল রবিবার আছে। টিকিট কেটে আমার অফিসের গাড়ি দিয়ে কাল বিকালের ট্রেন ধরিয়ে দেব। কুশলদার ভালবাসার কাছে হার মেনে থেকে গেলাম।
অফিস থেকে স্ত্রী কে ফোন করে জানালেন, “জয়ি, আমার এক বন্ধু এসেছে কলকাতা থেকে। উনি আমাদের সাথে লাঞ্চ করবেন, একটু ব্যবস্থা করো…
কুশলদা ড্রয়িংরুমে আমাকে বসিয়ে রেখে স্নান করার জন্য বাথরুমে গেলেন। কয়েক মিনিট পরে স্বয়ং জয়ন্তী চায়ের কাপ হাতে নিয়ে আমার সামনে হাজির হলো। আমরা দুজনেই প্রায় একসঙ্গে বলে উঠেছিলাম, ‘তুমি’?
সেদিন পাহাড়ের কোল ঘেঁষে কুশলদার কোয়ার্টারের ব্যালকনিতে পাশে কার্শিয়াং এর কুয়াশা ভেদ করে জয়ন্তীর চোখে মুখে যে আনন্দ উজ্জ্বলতা দেখেছিলাম তা কোনোদিন ভুলব না। কুশলদাকে বলেছিলাম আপনি যে পরিমলদার বাড়ির জামাই তা তো জানতাম না। সংক্ষেপে জানিয়েও ছিলাম তার শ্বশুর বাড়ীর সঙ্গে আমার হৃদ্যতার কথা। তবে আমার আর জয়ন্তীর নৌকা বিলাসের কথা কুশলদাকে বলার সাহস বোধ করিনি।
কুশলদা বললেন, “তুমি আমার শ্বশুরবাড়ির দূত, তোমাকে আজ ডিনার না খাইয়ে, আজকের রাতটা না রেখে, কালকের ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ না খাইয়ে তোমাকে আমরা ছাড়ছি না।
জয়ন্তী বলল, এতদিন পরে যখন দেখা হলো, তখন একটা দিন থাকলে তোমার কি খুব ক্ষতি বা কষ্ট হবে?
সত্যি খুব আনন্দ করে সেই দিনটা কাটিয়েছিলাম।
কোনোদিন দেখা হবে কি না তাও জানি না। জয়ন্তীদের বাড়ী থেকে বিদায় নেবার মুহূর্তে আমাকে ব্যালকনিতে আড়ালে পেয়ে বলেছিল, একটা অনুরোধ করব, রাখবে?
আমি বললাম, খামোখা এত আড়ষ্ট বোধ করছ কেন? এর জন্য কি অনুমতির প্রয়োজন আছে?
তা নয়, তুমি শুধু বলো অনুরোধটা রাখবে?
জয়ন্তীর ছলছল চোখ দেখে মনটা কেমন নরম হয়ে গেল। কোনও কিছুই না ভেবেই বলে দিলাম রাখবো। নিশ্চয়ই রাখবো।
তোমার মেয়ে হলে তার নাম রেখো জয়ন্তী। ওই নামের আড়ালেই আমি তোমার মধ্যে বেঁচে থাকব।
একদিন নিদারুণ দৈন্যতায় জয়ন্তীর প্রেম প্রত্যাখ্যান করেছি, নাহয় ভবিষ্যতে আমার মেয়ে হলে সে বেঁচে থাকুক জয়ন্তী নামের আড়ালে।