পারফিউম
এই লোলভূমি ,রাখুক কিছু দুপুর প্রদেশ।
ভ্রান্ত কোন কবি স্বৈরিণীর ছদ্মবেশে এসে বসেছিল অন্ধকার ঘরে।কেউ দেখেনি ,আড়াল আড়াল জল।ও ঘর থেকে উঠে এসেছিল যে,তার সামনে অতসী দুর্বল।নীলাঞ্জন সোনার পেন দেবে বলেছিল ওকে।অস্থিরতা উড়ে লাগুক পুরুষের লাজুক বয়সে।কাঁধে দাঁত,শীৎকারে ফুৎকারে উড়ুক শরীর।আগলে রাখতে হয় নোজপিন।সমর্পণের কোল ঘেঁষে উৎসব ফুরোলে গলায় রয়ে যায় পশম আবেশ।ঢাকা থাকুক চঞ্চলতা,ঢাকা থাক অস্তভূমি।আপিস আপিস খেলায় জীবন ভাত আর কাঁচালঙ্কা।পিঠময় ঘুরুক আঙ্গুল,অন্ধকার প্রশ্ন করুক- “দাবী?”…লাল চায়ের কাপ দেশান্তরী প্রিয়জনকে সাইরেন শোনায়।
কিছু প্রিয়জন,ভ্রমাকুল মোরগ ফিরে যাবে ঘর থেকে শস্য গোছানোর বাহানায়।
কাঁপা কাঁপা ঘুমে জেগে ওঠা মেয়েটা চিনতে চাইবে না আর কুয়োতলার মাটি।
…শুন ভেল দশদিশ।অফিসের ঠিক একতলায় অপেক্ষা করছিল ছেলেটা।হাতে আর্টস অফ সিডাকশন।গলার বামদিকে স্পষ্ট ছিল দাগ।
এ লোলভূমি , রাখুক কিছু দুপুরপ্রদেশ।
একটানা তাকিয়েছিল ছেলেটা।মেয়েটির ঘাড়ে তখনো বিন্দুমালা , আর ছেলেটির গলার বামদিকে প্রবালমণি।রস করে নানা রঙ্গ।এক্সট্রিম আটাচমেণ্টে ভাগ্যবন্ত জনে পায় সেই ফুল।এ প্যাশন তথা মডেস্টি শত যুগ পরেও ধেয়ান কাড়ে।বোল সুললিত ধ্যানবন্ত অ-বালক বেশ যেন কেহ মহেশ্বর।
ফাঁকা ঘরটায় এসে বসে নারী, কাচের ডগডগিতে ভরে ওঠে সুরা।শরীর স্তনশূন্য হয় ,উরস্বরে জাগছে পারফিউম।অখণ্ড মিলনে সোন্দর ভোরমতি উমাপতি জাগছে।খালি বিরিয়ানির প্লেট থাকুক ঘরের কোণে।সম্ভোগে ভ্রমর মধুলোভী হোক।