কবিতায় শুভ্র দাস

সেই কবেকার বর্ষা দিনে
শুকনো পাতা ভিজিয়ে দিয়ে বর্ষা আসে মে মাসে,
একলা রাতে ভাবছো কেবল বসবে এসে কে পাশে ?
মেঘ করেছে, আকাশ আঁধার, চন্দ্রকলা উধাও আজ,
উদাসী মন, ব্যথার যতন, বিদায় নিলো ব্যস্ত কাজ।
সেই কবেকার গল্পে পড়া, বনের রাজা অরণ্যদেব,
কিশোরকালের খেলার সাথী, মন কেমনের বেহিসেব।
সেই কবেকার বর্ষাদুপুর, জলের ফোঁটা, টিনের চাল,
ঘর ঝিমিয়ে, পা টিপ্ টিপ্, বানের জলে ফেলবো জাল।
সেই কবেকার তোমার বাগান, আম পেকেছে সেবার খুব,
পা ছপ ছপ, গা ছম ছম, গন্ধে ম ম স্মৃতির ডুব।
সেই কবেকার আষাঢ়-শ্রাবণ, ভিজছে জামা রোজ বিকেল,
মাঠের কাদায়, তুমুল ভিড়ে, ইস্ট-মোহনের মরণ খেল।
সেই কবেকার, সন্ধে আঁধার, লোডশেডিংয়ে রাত বাড়ে,
জানলা খুলেই, ঠান্ডা হাওয়া, মন কেমনে হাত নাড়ে।
সেই কবেকার অন্ধ বালক, চারটে কুড়ির ট্রেনের গান,
বৃষ্টি ছাটে, দরজা পাশে, কাক-ভেজা সেই সুখের স্নান।
সেই কবেকার, ব্যস্ত কলেজ, ছাতের ফুটোয় জল পড়া,
টিচার, স্টুডেন্ট, বন্ধু সমেত, সবাই মিলে গান ধরা।
সেই কবেকার কাল বোশেখী, ধুলোর ঝড়ে অন্ধকার,
ছাতার আড়াল, কাঁপছে দুজন, কে ধরেছে হাতটা কার?
সেই কবেকার, তোমার বাগান, আম পেকেছে খুব সেবারও,
অল্প সময়, আম কুড়ানো, তোমার বাগান হয় আমারও।
বাগান আমার ভিজিয়ে দিয়ে বর্ষা আসে মে মাসে,
একলা রাতে এরা সবাই বসছে এসে চারপাশে।