• Uncategorized
  • 0

কবিতায় শুভ্র দাস

১৯৮৫ সাল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস। গত পাঁচিশ বছর আছেন ডেট্রয়ট শহরে । পেশায় মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং -এর প্রফেসর। জন্ম ও ছোটবেলা কেটেছে কদমতলা, হাওড়ায়। পড়াশোনা খড়্গপুর আই. আই. টি. ও আইওয়া স্টেট ইউনিভার্সিটিতে। নেশার মধ্যে ছবি তোলা ও ছবি আঁকা, লেখা লেখি, ঘুরে বেড়ানো, নাটক ও পলিটিক্স । বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাস্ট্রে রাজনৈতিক পরিবর্তন আনার কাজে বিশেষ ভাবে জড়িত।

সেই কবেকার বর্ষা দিনে

শুকনো পাতা ভিজিয়ে দিয়ে বর্ষা আসে মে মাসে,
একলা রাতে ভাবছো কেবল বসবে এসে কে পাশে ?

মেঘ করেছে, আকাশ আঁধার, চন্দ্রকলা উধাও আজ,
উদাসী মন, ব্যথার যতন, বিদায় নিলো ব্যস্ত কাজ।

সেই কবেকার গল্পে পড়া, বনের রাজা অরণ্যদেব,
কিশোরকালের খেলার সাথী, মন কেমনের বেহিসেব।

সেই কবেকার বর্ষাদুপুর, জলের ফোঁটা, টিনের চাল,
ঘর ঝিমিয়ে, পা টিপ্ টিপ্, বানের জলে ফেলবো জাল।

সেই কবেকার তোমার বাগান, আম পেকেছে সেবার খুব,
পা ছপ ছপ, গা ছম ছম, গন্ধে ম ম স্মৃতির ডুব।

সেই কবেকার আষাঢ়-শ্রাবণ, ভিজছে জামা রোজ বিকেল,
মাঠের কাদায়, তুমুল ভিড়ে, ইস্ট-মোহনের মরণ খেল।

সেই কবেকার, সন্ধে আঁধার, লোডশেডিংয়ে রাত বাড়ে,
জানলা খুলেই, ঠান্ডা হাওয়া, মন কেমনে হাত নাড়ে।

সেই কবেকার অন্ধ বালক, চারটে কুড়ির ট্রেনের গান,
বৃষ্টি ছাটে, দরজা পাশে, কাক-ভেজা সেই সুখের স্নান।

সেই কবেকার, ব্যস্ত কলেজ, ছাতের ফুটোয় জল পড়া,
টিচার, স্টুডেন্ট, বন্ধু সমেত, সবাই মিলে গান ধরা।

সেই কবেকার কাল বোশেখী, ধুলোর ঝড়ে অন্ধকার,
ছাতার আড়াল, কাঁপছে দুজন, কে ধরেছে হাতটা কার?

সেই কবেকার, তোমার বাগান, আম পেকেছে খুব সেবারও,
অল্প সময়, আম কুড়ানো, তোমার বাগান হয় আমারও।

বাগান আমার ভিজিয়ে দিয়ে বর্ষা আসে মে মাসে,
একলা রাতে এরা সবাই বসছে এসে চারপাশে।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।