একটা লম্বা শিরোনাম আর তার নিচে জমিয়ে
নাম বদলের অপেক্ষা হাজার এক,
এভাবেই নাকি রাজনীতির ক্রোমোজোম আসে,
তারপর দুই তিন এক্স ওয়াই আর কয়েকটা মাদারির
ডুগডুগির নিচে চাপা পড়া কয়েকটা টাকা ভোলবদলের
গল্পে আঁশটে গন্ধ খোঁজে।এখান থেকেই জামা,
পতাকা এমনকি অন্তর্বাসও দিব্যি বদলে যায়।
তারপর একটা হ্যামলিন হাঁক দেয়, ‘ চল’ শব্দ।
চল অক্ষর সময় নষ্ট না করেই হাত পা গুটি গুটি
একটা ছাতার নিচে দাঁড়ানোর চেষ্টা,
ছাতা তখন চেয়ার সামলায়,
নিজের চামড়া দিয়ে চেয়ারের জল মুছিয়ে
অপেক্ষার মালকোষে দাঁড় করায়
একটা আস্ত দিন সময় অথবা গাছ।
লম্বা শিরোনামের নিচে ছাতার কোমরে ডানা
উড়ে যাচ্ছে আলো অন্ধকার,
নিচে দাঁড়ানো বাকি সবার অক্ষর জন্ম।
সরস জন্মদাগের কথা
যে নতুন দিনের গায়ে জন্মদাগ তার
কোলেই কিতকিত, তখন অবশ্য পাখিদের
সকাল নেই, নেই কোন অসমীকরণের নদী।
খেয়ালের এক কোমর জলে গা ধুতে ধুতে
ফুসফুসের বীজ জন্ম, ঘাড়ে নামে জলপ্রপাত।
চুপ বললেই আরো অপদার্থতার মালা থাকে,
দরজাতে আঁচড়ের কাটাকুটি দাগ,
রাতের সমস্ত বার্তা পড়ে ভোরের দুটো চোখ,
জলে নামে খেয়াল বন্দিশ।
সমস্ত অর্বাচীন নগরে চাল রাখা,
দূর মানে শুধু হিসাবের গলি,
প্রেম একটা সরস রোগের নাম।
বিনির্মাণের যোগ বিয়োগ
কখনো নির্মাণে ধুলো রাস্তার পাশের
পুকুর মাছ ধরে ওড়া ঘুড়ি, দুপুরের বিশ্বকর্মা।
মেঘের অরন্ধনে লোক খায়, দুটো গ্রামের চোখে ঘুম,
মোটা চাল, ডালে ফ্যানের অঙ্গাতবাস।
এভাবেই কখনো হাত কাঁপেনি,
শরীরে ছোঁয়নি শরীর, ভয় লেখা গাছের বাকল জুড়ে।
যদি যাত্রা পথে মধু ও হলুদ মেশা,
রঙ আছে ইঁট গুঁড়ো, শিরায় তবুও গাণিতিক
যা কিছু সাজানো, তবুও যেন লোক বল নেই।
রানীর নামতা
সেই মাত্র একটা গাছ, এফোড় ওফোড় করে অপেক্ষা,
কোন রাস্তায় রক্তপাত। অথচ চুপচাপ সমস্ত সমীকরণের
শরীরেই সিলমোহর, উপায়ের একটা মস্ত মানচিত্রে কয়েকটা
গুটি পোকা, সুযোগ বুঝেই শুধু উপস্থিত যাত্রা,
ভোর নামবার আগেও আরেকটা জটিল অঙ্ক।
রানী ঘুমায় নিশ্চিন্ত, চারদিকে ফলের বাগান
আনন্দের দাসত্বের নাম প্রজাপতি।
এদিকে স্তরে স্তরে যে সব পুরস্কার ফেরানোর নামে উন্মাদক্রম
স্কুল কলেজের যারা শোক মাখে তাদের ওষুধ
এক দুই করে তৈরীর আলমারিতে,
রানী সব জানেন, রানি সব বোঝেন,
তার শুধু বর্ণপরিচয় আর ভালোবাসার মালাবদল নেই।