• Uncategorized
  • 0

কবিতায় ঋভু চট্টোপাধ্যায়

ইতিহাসের যুদ্ধছায়া 

আমরা যারা সব ছাত্র ইতিহাস রচনা করবার জন্য জন্মাই
ভূগোল ঘুরিয়ে গ্রামের বদলে শহরে বাড়ি ঘর দিব্যি ভাড়া নিই,
তাদের অঙ্কে যদিও ভুল ছাপ কিন্তু ধরবার লম্বা লোক কই?
অথচ মাঠেতে প্রতিটা সন্ধায় দিব্যি বোতলের তলানি যেটুকু
তাকেই ছুঁয়ে ফেলে একটা চুমুকেই হঠাৎ সন্ধ্যায় রাত্রি নেমে যায়।
ওদিকে একে একে সবাই মিছিলে নামতো লেখাবেই, হয়ত চাকরি,
দাঁড়িয়ে দরজার গোড়াতে ভোর খুঁজে মাংস চাপাবে।
অথচ এর মাঝে নতুন রামায়ণ, দিব্যি
প্রতিদিন রচনা চলছে, কেউ বা সামনে না হয় পিছনে
দাঁড়িয়ে নিজেদের ছবি সাজিয়ে রাখতে পারলেই জানানো
যাবে ঠিক আমি তোমাদের।তোমারই পার্টি ঘর
আমার ঘর বাড়ি, লুকানো দরজায় আমার শ্বাস বায়ু
আমার খাতা বই তোমার আলমারি
আমি তো তোমাদের, সত্যি তোমারই।
হয়ত কালকে মৃত্যু দেখবে একটা নতুনের বিরোধী পার্টিঘর
রঙের রাস্তায় রয়েছে সিসিফাস, আকাশ দেখছে ঘুমের বন্দর।
খাচ্ছি যেভাবে খিদে পাচ্ছে অথবা ভাবছি নতুন কোন এক
বিধবা দর্শন, নিজের জানা নেই কিভাবে খসেছে ওড়াঘুড়ি সব,
অথবা জামা প্যান্ট যেগুলো একদিন কুড়িয়ে পাওয়া কোন
নুড়ির নাম গান, তাদের সাথে সব স্বপ্ন কোশ করে
বানানো যাবে ঠিক আরেক বাতিঘর।
তোমার নৌকা দিব্যি খুঁজবে, তোমার ঘর বাড়ি দিব্যি সাজিয়ে
আমরা যারা আজ পার্টিই ঘরবাড়ি দিব্যি চলছে চামড়া বাজিয়ে।
জানি আসা নেই অথচ বিছানায় রোমের ইতিহাস অযথা লিখলে
তুমিই ম্যাকবেথ অথবা অর্জুন একেকটা ইট যেভাবে ভাঙছে,
ধুলোয় মিশবে আরেক কেল্লা, ঘুমের ভিতরে জড়িয়ে পড়লেই দিব্যি
হাঁটবে সত্য কথা সব, পোশাকে পোশাকে ভয়েই দিনকাল লুকিয়ে
থাকলেও কবরে একদিন হাল্কা এপিটাফ, সেখানে ছেলে মা
দিব্যি আড়ি আর সামনে মাথা সব হাতের তালি আর লাথির
আঘাতে লুটিয়ে পড়ছে, যেখানে যত রাগ জমাট রক্ত
ঘুষের ভিতরে হিংসা অক্ষ, ভোটের ক্যানভাস বাঘ ও হরিণে
একই জলঘাট, একই উঠোনে জমাট মোচ্ছব,
কে যেন মারা গেল কে যেন মরছে অথবা ভেবে মরা
আমরা কালসাপ, এভাবে হাঁটলেই দিব্যি দেখা হোক,
একটা সাজানো ভোরের গল্প, না হয় শ্বাস নেব,
না হয় উদাসীন, এভাবে বেঁচে থাকা, হোক না অল্প।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।