এইভাবে নিঃশব্দে বসে থাকব কতক্ষণ
ওপারে আলো জ্বলে সাদা ও লম্বাটে
দীর্ঘ বাতাসের কানকো ছুঁয়ে এগিয়ে যাবো—
মেঘের আঁচল ধরে বলব নৌকো ছাড়ো জল
কিংবা হাত ধরো পয়লা বৈশাখ ?
না’ এখন শান্ত হই, আরো শান্ত হয়ে দেখি।
এই দু-চোখ বন্ধ করছি—
লবণক্ষেতের ভিতর চিৎহয়ে শুয়ে পড়ব
যেমন বীর্যহীন পতঙ্গ ডানা খসিয়ে ঘুমোয়
এরপর শুধু অন্ধকারে চিঠি লেখা আর দুঃশ্চিন্তা নেই
অন্তরঙ্গ এই রক্তস্রোত আজ রহস্যময় নীল
যদি রাস্তা ফেলে আসি চন্দ্রবিন্দু’র জমাট পা’য়ে —
একটি বিষণ্ণ মানুষের আত্মহত্যা হোক—
দারিদ্র ও ধোঁয়া ।।
নৈঃশব্দ্যে আটকে আছি
যার জন্য এত অপেক্ষা সে জানে না
দেখা হলে ভেবে নেব সারপ্রাইজ
না হলে বুকের মধ্যে ভরে নেব চোরকাঁটা
অপেক্ষা ফুরিয়ে যায় না বদলে যায় সময়ের ঘড়ি
এটুকু বয়সে বুঝে গেছি কাঙাল হতে হলে
হৃদয়ে রোপন করতে হয় রেশম ফুলের চাষ