কবিতায় চন্দন দাস

একটি বিষণ্ণ মানুষের স্যুইসাইড নোট ৫ 

এইভাবে নিঃশব্দে বসে থাকব কতক্ষণ
ওপারে আলো জ্বলে সাদা ও লম্বাটে
দীর্ঘ বাতাসের কানকো ছুঁয়ে এগিয়ে যাবো—
মেঘের আঁচল ধরে বলব নৌকো ছাড়ো জল
কিংবা হাত ধরো পয়লা বৈশাখ ?
না’ এখন শান্ত হই, আরো শান্ত হয়ে দেখি।
এই দু-চোখ বন্ধ করছি—
লবণক্ষেতের ভিতর চিৎহয়ে শুয়ে পড়ব
যেমন বীর্যহীন পতঙ্গ ডানা খসিয়ে ঘুমোয়
এরপর শুধু  অন্ধকারে চিঠি লেখা আর দুঃশ্চিন্তা নেই
অন্তরঙ্গ এই রক্তস্রোত আজ রহস্যময় নীল
যদি রাস্তা ফেলে আসি চন্দ্রবিন্দু’র জমাট পা’য়ে —
একটি বিষণ্ণ মানুষের আত্মহত্যা হোক—
দারিদ্র ও ধোঁয়া ।।

নৈঃশব্দ্যে আটকে আছি 

যার জন্য এত অপেক্ষা সে জানে না
দেখা হলে ভেবে নেব সারপ্রাইজ
না হলে বুকের মধ্যে ভরে নেব চোরকাঁটা
অপেক্ষা ফুরিয়ে যায় না বদলে যায় সময়ের ঘড়ি
এটুকু বয়সে বুঝে গেছি কাঙাল হতে হলে
হৃদয়ে রোপন করতে হয় রেশম ফুলের চাষ
বর্ষার রাত্রে কল্পিত স্তন বুকে পাট ভেঙে উঠি
কিসমিস ফুলে উঠে। জমা কথারা বায়বীয় হয়ে
এগিয়ে এলে গোপন করতে থাকি অন্ধকার-কালি
নরম খরগোশের মত তুলতুলে হৃৎপিণ্ড
সংকট কাটিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে ওঠে
কেবল আরেকটি সকালের জন্য নগ্ন হওয়া হল না !
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।