পড়াশোনা করার ইচ্ছে রয়েছে, শিক্ষার অধিকার আইন রয়েছে, শিশুশ্রম বিরোধী আইন রয়েছে, স্কুলে মিড-ডে মিলের ব্যবস্থা রয়েছে। তবুও ক্ষুধা আর ক্লান্তিতে ক্ষয়ে যাচ্ছে ওদের শৈশব। কখনও সাজাচ্ছে কাঁচা ইট, কখনও গাড়িতে তুলছে তৈরি হয়ে যাওয়া ইট। এটাই ওদের শৈশব। অভিযোগ, দেখেও দেখছে না কালনা প্রশাসন।
কেউ কাজ করে ইটের পাঁজায়, কেউ নির্মাণ শিল্পে। এই দুই জায়গাতেই ওদের বেশি দেখা যায়।
শিক্ষার অধিকার আইন রয়েছে দেশে। তাদের স্কুলমুখী করতে দুপুরে খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে স্কুলে স্কুলে। মাঝেমধ্যেই লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে শিশুশ্রম বন্ধের বিজ্ঞাপনে ছয়লাপ হয়ে যায় গ্রাম থেকে শহর। শিশুদিবস এলে সক্রিয় হয়ে ওঠে প্রশাসন, রুটিন নিয়মে মাঝে মধ্যেই শিশুশ্রম রুখতে বিভিন্ন জায়গায় হানা দিতে দেখা যায় প্রশাসনকে, হয় ধরপাকড়ও। তবে তাতে বাস্তবে কোনও বদল হয় না।