মারামারি হয়েছিল দুই পাড়ার মধ্যে। সঠিক কারনটা জানি না। যা শুনি অনেকাংশে বানানো লাগে। আজ থেকে প্রায় কুড়ি-একুশ বছর পুরোনো। তখন আমার বয়স সাত কী আট। মারামারি চলাকালীন কিছু রক্তক্ষরণের দৃশ্য স্মৃতিতে আবছা। সেই থেকে দুই পাড়ার মধ্যে বিবাদ চরমে।
আমি বিশ্বাস করি বিবাদের কারণ যত বড়ই হোকনা কেন সহাবস্থানে তা মিটে যায় একসময়। তবে এক্ষেত্রে তেমনটি ঘটেনি। দীর্ঘ কুড়ি বছরেও শূণ্যস্থান পূরণে ব্যর্থ সহাবস্থান।
ব্যর্থ কারন আমাদের পাড়ার দাদা-কাকারা চায় এ দূরত্ব বজায় থাক। এতে ভোটে জেতা সহজ হয় তাদের। তারা জানে জনসংখ্যায় ওই পাড়া অনেকটাই পিছিয়ে।
বিরোধিতার কারনে স্বাভাবিকভাবেই ওই পাড়ার লোকেরা, আমাদের পাড়ার দাদা-কাকাদের করা পার্টিটা করে না এবং এতেই বোঝানো সহজ হয় যে ওই পাড়ার মানুষ আমাদের অপছন্দ করে।
এভাবেই বছরের পর বছর গ্রামের অবস্থার উন্নতি না করেও ভোটে জেতা প্রায় নিশ্চিত হয়ে আছে এ গ্রামে একটা পার্টির।
সব বুঝে দুই পাড়ার মধ্যে মৈত্রেয়ীর সম্পর্ক গড়ে তুলতে চেয়েছিল সময়ে সময়ে দুই পাড়ার বেশ কয়েকজন। পারেনি। গ্রামবাসীদের কথায়, তাঁরা প্রত্যেকে শিক্ষিত চুতিয়া তাই ভুলে যেতে পেরেছে বাপ কাকাদের রক্তঝরা দিনটার কথা।