প্রত্যেক দিন অফিস যাবার সময় এতো অশান্তি ভালোলাগে না l আরে বাবা , তোমার যদি আমার বাড়িতে কাজ করতে ভালো না লাগে , তাহলে করো না , কাজ ছেড়ে দাও l দ্যাখো , মাসি প্রত্যেক দিন পারমিতার সঙ্গে , এই বাসন মাজা নিয়ে ঝামেলা আমার একদম বোরিং লাগছে l আরে রান্না করতে হলে কড়াই , হাঁড়ি তো একটু পুড়বে l এতে , এতো রাগ করলে হয় l কামলা মাসির মুখতো গোমড়া হয়ে রইল l এর মাঝে আর এক বিপদ , সারা দেশ জুড়ে করোনা রোগের আতঙ্ক l সারা দেশে কাল থেকে লক ডাউন শুরু হচ্ছে l রোগটা বেশ ছোঁয়াচে, তাই পারমিতা বলল , শোনো , কাল থেকে কমলা মাসিকে অফ করে দিচ্ছি l আমিও সায় দিলাম l হ্যাঁ কোনো চিন্তা নাই আমরা দু-জনে সামলে নেব l লক ডাউন চলছে l বৌ রান্না , আর আমি বাসনের পাহাড় কাঁধে উদ্ভ্রান্ত এক মানুষ l ভিমবারের ভয়ঙ্কর লড়াই সত্বেও , কড়াই , হাঁড়িকে আমি ভদ্রস্থ করতে ব্যর্থ হচ্ছি l আমার এই নিদারুণ ব্যর্থতায় বৌ খুব ক্ষুব্ধ l এক মাস পর আজ খবরে বললো — আগামী কাল লক ডাউন উঠে যাচ্ছে l সত্যি মনটা বেশ হাল্কা লাগছে l পরের দিন সকাল সাড়ে সাতটার সময় কলিং বেলের আওয়াজ l পারমিতা দরজা খুলে দেখল — কমলা মাসি l কী নিদারুণ আনন্দ l কিন্ত , কমলা কে দেখে আমি চোখের জল ধরে রাখতে পারলাম না l কাঁদতে কাঁদতে বললাম — কমলা মাসি , বলো বলো তুমি আমাকে ক্ষমা করেছো ? তোমার প্রতি যে অন্যায় আমি করেছি , জানি তার ক্ষমা নাই l আজ আমি হাড়ে ,হাড়ে টের পাচ্ছি , কমলা মাসি l কি বলছেন , দাদা বাবু ? আমি তো এর মাথা , মুন্ডু কিছুই বুঝতে পারছিনা ! না , না কমলা মাসি তোমারো দোষ নেই আর ভিমবারের ও l