– ভালবাসিস?
– বাসি।
– তুই?
– বন্ধুর চেয়ে কিছু উপরে আর…
তখন ছেলেটা জিজ্ঞেস ক’রতো আর মেয়েটা এড়িয়ে যেত। আজ মেয়েটা জানতে চায়। ছেলেটা ঠিক এড়িয়ে যায় না, পাশ কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বরং। আগে একটা সংসার ছিল। এখন দু’টো সংসারকে বাঁচিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করে। মেয়েরা তো নদীর মতো। স্রোতস্বিনী। বয়ে যায়, বয়ে নিয়ে যায়। ছেলেটা পাহাড় হয়ে আগলে রাখতে চায় দু’জনের দু’টো পরিবার। পাহাড়ের গায়ে যে হিমবাহ, একদিন সেইখানে-ই নদী চোখ মেলে প্রথম দেখেছিল, পূর্ণ হয়ে উচ্চারণ ক’রতে শিখেছিল, ‘ভালবাসা’। আর পাহাড় তার সমস্ত ভাঁজে নদীর নাম লিখে, শুষ্ক শরীরে উর্বরতা বুনে বাঁচাতে চেয়েছে একটা গোটা উপত্যকা।