ড্যান ফান্টে ছিলেন একজন অন্যরকম আমেরিকান লেখক। জন্ম লস এঞ্জেলস-এ। (ফেব্রুয়ারি ১৯, ১৯৪৪ – নভেম্বর ২৩, ২০১৫)। মূলত গদ্যকার। ‘স্পিটিং অফ টল বিল্ডিংস’, ‘চাম্প চেঞ্জ’,’মুচ’ ইত্যাদি সব বই তার। এছাড়াও তাঁর দুটো কবিতার বইও আছে। লেখক জন ফান্টের ছেলে তিনি যাকে বুকাওস্কি বলেছিলেন, ‘আমার ঈশ্বর’।
ড্যান ফান্টের কবিতা
সূর্যালোকে
আমার সাথে দেখা হয়েছিল একটা ইতর হারামি ক্ষুধার্ত বেড়ালের
যখন একটা বই নিয়ে বসে আছি আমি
একটা বেঞ্চে বসে আধ প্যাকেট লাকি ফুঁকছি
ভেনিস বিচে
হুলোটা আমায় দেখল আর কাছে এলো – একটা
চোখ সবুজ আরেকটা চোখ হলুদ
একটা সদ্য কাটা দাগ তার ছেঁড়াফাটা কানে
আঘাত পাওয়া একটা নেকড়ের মতো রাগে সে
তার দূরত্ব বজায় রাখল আর তার চোখ যেন বলছিল
-‘হয় খেতে দাও নয়ত কেটে পড়
তুমি যে বেঞ্চে বসে আছ ওটা আমার এলাকা’
যা ও জানত না তা হলো আমিও জানি মরিয়া আর পাগল
আর শূন্যতা আর একাকীত্ব আর রাগ কী ঘটাতে পারে
যখন আপনার পকেটে যন্ত্রণা ছাড়া আর কিছু নেই
আর আপনার বাড়িটা একটা ভাঙাচোরা কুড়ি বছরের পুরনো পন্টিয়াক
যা পশ্চিম এল এ-র এক গলিতে থেমে আছে
আর আপনার মাথার ভেতরের স্বরগুলো আপনাকে কেটে কেটে রোজ
মেরে দিচ্ছে একটু একটু করে – আর
আপনি জেগে উঠে ফের আরো বেশি করে খাচ্ছেন ইঁদুরের মুতের ওয়াইন
যাতে আপনি তখনই পাগলে না যান আর ঈশ্বর
হয়ে যান বাজার থেকে বেরিয়ে আসা সেই লোকটা
যে আপনাকে ধরায় মাথামোটা খুচরো সব যা দিয়ে আরেক জাগ আর
ভয় হলো আপনার সেরা অনুভূতি আর
ভালোবাসা মারা গেছে আর সমস্ত সময় মারা গেছে আর এমনকি
আপনার চোখ থেকেও পচা গন্ধ ছাড়ছে আর আপনার নাড়িভুঁড়ি
ঠেলে বেরিয়ে আসছে সেই সমস্ত স্বরগুলোর চিৎকারে যাদের আপনি
ঘেন্না করতেন আর দেহ ও মনের সুস্থতা একমাত্র আসে
আরেক চুমুক মদের মিরাকেল পানে-
ওই ইতর সাদা বেড়ালটা জানত না যে আমিও বেড়াল ছিলাম
ওই একই থান কেটে আমাকে বানানো হয়েছিল
আমাদের ভেতর তফাৎটা শুধু কুড়ি বছরের
আর আমার টাইপরাইটার
ওই ইতর সাদা বেড়ালটা জানে না
যে আমাকেও কাটা হয়েছিল বেড়ালের মতো…
মার্কের জন্য
হেঁটে যাও শুধু শব্দ নিয়ে আর বইগুলোকে
বন্ধু করে
স্বপ্ন দেখো সেইসব ভিন্ন মৃত সন্ত লেখকদের স্বপ্নগুলো
যারা তোমার আগে এসে
তাদের পবিত্র হৃদয়ের যাতনা ডুবিয়েছে
বড়কা জালার জিন-এ
রোজ মার খাওয়া ঠিক একটা বেড়ালের মতো, যাকে ভালোবাসে না কেউ
জড়াও স্বার্থপরতা আর চাকরিহীনতাকে
ফোঁকো হাজার হাজার ফিল্টার ছাড়া সিগারেট
নিজেকে আঁঠা মেরে আঁটকে রাখো আশাহীন
ওই শয়তান মাতাল পাগলা বেশ্যার সাথে যে
তোমার বিচি বেচে দেবে তৎক্ষণাৎ নিউ ইয়র্ক-এ
বারের শেষ প্রান্তের লোকটার জন্য
ছোটো ছোটো গর্ত ভরা মুখে আর পঞ্চাশ ডলারে
সাহসী হতে চেয়ো না
মনে রেখো সব পুরুষই আসলে বোকা
আর মিথ্যবাদী
আত্মাহীন বন্দী তাদের নিজেদের রক্তমাখা
প্রয়োজনের কাছে
কিছুই মার্জনা কোরো না
তাহলে হয়ত একদিন
আমার মতো
পা যন্ত্রণায় ছিঁড়ে যাচ্ছে আর তোমার মাথা তখনও দগদগে