ফির এলাম টেক টাচ টকের হইচই নিয়ে। এবারে লক্ষ্মীপুজোর দিনে এই বিশেষ সংখ্যা আমার পুজোর নৈবেদ্য। নাড়ু, মোয়া, খিচুড়ি, পায়েস। কখনও কখনও ব্যক্তিগত পরিসর সমগ্রকে ভীষণভাবে প্রভাবিত করে। যেহেতু পরিবারের একজনের মৃত্যু হলে অশৌচ পালন রীতি, সেহেতু এবারে আমার লক্ষ্মীপুজো করা হয়নি। দীর্ঘ বছর ধরে আমি নিয়মিত নিজের হাতে একাই সব আয়োজন, ভোগ রাঁধা, ইত্যাদি করে আসছি। এবারে সম্ভব হল না। তাই এখানেই সারব আমার পুজো। আর এই প্রসঙ্গে আরও একজনের কথা মনে আসছে। অমৃতা। বিয়ে হওয়ার আগে পর্যন্ত আমার এই পাশের বাড়ির মেয়েটি এসে নাড়ু পাকাতে হাত লাগিয়েছে, পুজোর জোগাড়ে সাহায্য করেছে। অমৃতাও আজ আমাদের মধ্যে নেই, এক মৃত্যু আরও এক মৃত্যুকে মনে করিয়ে দিয়ে গেল। তাই এই বিশেষ সংখ্যাটি অমৃতার নামে লেখা রইল।
এই সংখ্যায় রয়েছে নিয়মিত ধারাবাহিক, কবিতা বিভাগ, আর ওপার বাংলা। মুড়িমুড়কি, অনুবাদ আর গদ্য বিভাগটি এবারে বাদ রইল। স্পেশাল নব্য পাঁচালী লিখলেন আজকের মেয়েরা। কেন লক্ষ্মী পুজো করি আমরা, কী এর উদ্দেশ্য…জেনে নেওয়া যাক বরং। লক্ষ্মী তো শুধুই মা নয়, মেয়েও বটে এবং বন্ধুও। তাই তাকে চিঠি লেখার অধিকার আমাদের আছে বৈকি! লক্ষ্মী মানেই শ্রী, সমৃদ্ধি। কোন সাম্প্রদায়িকতায় তাকে ফেলবেন না দয়া করে! জ্ঞানত সারাজীবন কারুর কাছে কিছু চাইনি,(এখানে এসে অবশ্য লেখা চাইতে শিখেছি…মজা বাদ দিয়ে দিয়েই বলি এবার)কিন্তু লক্ষ্মীপুজোয় দু হাত পেতে শ্রী চেয়ে এসেছি। এবারেও তার অন্যথা হবে না। শ্রী দাও মা! পৃথিবীর শ্রীবৃদ্ধি কর! এসো মা লক্ষ্মী, বসো ঘরে…