• Uncategorized
  • 0

মুড়িমুড়কি -তে রজতশুভ্র বন্দোপাধ্যায়

পেশায় স্থপতি। ১৯৮১ থেকে ১৯৮৫ পর্যন্ত চাকরি, ১৯৮৬ থেকে নিজের আপিশ। অবসর সময়ে লেখা লেখি , শুরু মোটামুটি ১৯৮৯ থেকে। মোট চারটি বাংলা বই - ১৯৯১ - আগজুবী - প্রকাশক - গ্রাফিতি (গদ্য ও পদ্য) ২০০২ - বোলতা বোলতা - প্রকাশক - রায় মিত্র (গদ্য ও পদ্য) ২০১৩ - সাড়ে পাঁচ বেলা - প্রকাশক - প্রেসেডেন্সি লাইব্রেরি (গদ্য ও পদ্য) ২০১৬ - নেড়ুদা - প্রকাশক - সৃষ্টিসুখ (গদ্য) ২০১৯ - সৃষ্টিসুখ থেকে আর একটি বই হয়তো বেরবে (পদ্য)

নেতৃবর্গ

রোজ সকালে গঙ্গা পারে কুস্তি লড়ে লোক,
কেউ বা আবার ঢেউ গুনে যায়, নদীর পানে চোখ,
কেউ বা শুধুই পৈতে ধ’রে মন্ত্রে তোলে সুর,
কেউ বা আবার ছিলিম টেনে সাত সকালেই ধুর,
বেশ কিছু লোক এসব দেখে দাঁড়িয়ে থাকে ঠায় –
নেতৃবর্গ সেই সুযোগে পকেট কেটে যায়।

রোজ দুপুরে ধর্মতলায় লুঙ্গি প’রে লাল,
অজস্র লোক মিটিং ক’রে মেটায় মনের ঝাল,
কেউবা আবার কোমর ধরে কথায় তোলে ঝড় –
কোন কেলোটা কোন ব্যাটাদের কালো হাতের ষড়,
বেশ কিছু লোক এসব দেখে দাঁড়িয়ে থাকে ঠায় –
নেতৃবর্গ সেই সুযোগে পকেট কেটে যায়।

বিকেল হ’লেই পার্কে ব’সে জোড়ায় জোড়ায় সব
ইকিড় মিকিড় খেলবে কেমন – সেটাই নাকি “লভ”!
ওই ওপাশে বেনচে ব’সে জড়িয়ে ধ’রে গা
মনের কথা বলবে খুলে, নাড়িয়ে যাবে পা,
বেশ কিছু লোক এসব দেখে দাঁড়িয়ে থাকে ঠায় –
নেতৃবর্গ সেই সুযোগে পকেট কেটে যায়।

সন্ধ্যা শেষে মালটা টেনে জাপ্টে ধ’রে থাম
মত্ত মাতাল আবছা গলায় জপছে রামের নাম,
কেউ বা শুধুই দিচ্ছে হামা, খুঁজছে যেন ভূম,
কেউ বা আবার টাল্লা খেয়ে নর্দমাতেই ঘুম!
বেশ কিছু লোক এসব দেখে দাঁড়িয়ে থাকে ঠায় –
নেতৃবর্গ সুযোগ বুঝে পকেট কেটে যায়।।

Spread the love

You may also like...

error: Content is protected !!