জানতাম, তুমি পারবে, পারলে-ও! না, তোমাকে কোনোভাবে দুর্বল ক’রে দেওয়ার জন্য মেসেজ ক’রতে বসি নি, বরং, চলে যাওয়ার আগে কিছু কথা বলে যাওয়া প্রয়োজন ব’লে, লিখতে বসলাম। আমি সত্যি আজও জানি না, তোমার আমার সম্পর্কে ধারণাটা ঠিক কি বা কেমন। খুব স্বল্প সময়ের পরিচয়। একটা কোথাও টান থেকে হয়তো কিছুটা গভীরে যাওয়া। ভালো-মন্দ, পাপ-পুণ্য বিচার ক’রি নি, বরং একটা প্রবল স্রোতে ভেসে গেছি। ‘পরস্পর’ কথাটা বললাম না, কারণ, নিজের দায় আমি নিতে পারি, অন্য প্রান্তের মানুষটার দায় অযাচিতভাবে নেওয়া যায় না বোধ হয়, তার উপর, সে যখন অন্য কোথাও দায়বদ্ধ। কাল যখন শেষ কথা হ’ল, বুঝলাম… কতোটা যত্নে আগলে রাখা সেই দায়বদ্ধতা। সেখানে অনধিকার প্রবেশ করা সত্যি আমার উচিত হয় নি। কিন্তু, একটু খুঁটিয়ে ভেবো তো, সত্যি কি আমি প্রবেশ ক’রতে চেয়েছিলাম, এমন কিছু প্রকাশ পেয়েছিল আমার দিক থেকে? বোধ হয়, কখনো-ই পায় নি গোড়ার দিকে। তাই হয়তো কোনো একদিন শুনতে হয়েছিল, ‘সব সময় আমার কেন শেষ হয়? তোমার কেন হয় না?’ যাইহোক, থাক ও-সব। অনেক ভুলভাল লিখে ফেললাম হয়তো। ক্ষমাপ্রার্থী তার জন্য। শ্রদ্ধা ক’রি তোমায়। ভালো থেকো…