বড়দিন এসে গেল গুটিগুটি করে। মোবাইল শুভেচ্ছায় ভেসে যাবে তামাম পৃথিবী। হাতের মোবাইলই তো এই আঁধারের হ্যারিকেন!তার নাম হ্যারিকেন রাখলে, পিছনে রাখা ম্যানিব্যাগের নাম বাঁশ না হয়ে, কেন পার্স হবে?সে প্রশ্নের উত্তর এটিএম কার্ড জানলেও চুপ করে থাকে, ঝুপ করে পাওয়া আধারের দিকে তাকিয়ে।
লে লে ডিটেনশন ক্যাম্পের নাম হালুয়া আর রেশন কার্ডের নামে গাজর বিলিয়ে যারা গরিবি হঠাও-এর খুড়োর কল চালাচ্ছেন যারা, তারা তারা আসলে দেশপ্রেমিকের নামে রক্তচোষা খটমল, একথা বললে দেশদ্রোহীর তকমা পাবেই পাবে।
নকলে-আসলে,সত্য-মিথ্যায় জড়াজড়ি। হাতে রাখার হাতটি কতটা শক্তিশালী, বিপদে সেটি যে খাবে না গড়াগড়ি, তার কি আছে কোনো গ্যারান্টি! হাত থেকে পাতে ঘুরেফিরে সেই মোবাইলই সম্বল। নীলছবির মৈথুন দৃশ্যেই বিপ্লব গর্ভবতী হয়ে আসন্নপ্রসবা কি না বিতর্ক চলতেই পারে। রতি ও ভীমরতি মত্ত এসময় অঙ্কের জাদু এবং গণতন্ত্র অয়স্কান্ত!নয়নমণি! নয়নে নয়নে চালসে বা অন্ধত্ব, একথা মূকও বলবেন না!বরং আওয়াজ করে বলুন জয় ভারত,জয় মা, জয় রাষ্ট্র। অতএব,দেশপ্রেম প্রমাণিত সত্য!
শুনুন বাবু, হাড়িকাঠে মাথা,ব্যাঙ্কে আমানত,গুগলে জ্ঞান, মোবাইলে প্রেম, শুভেচ্ছা, শুভকামনা সব ফ্রি।বলুন,আর কি চাই! থাকুন, থাকতে পারলে, বিন্দাসই থাকুন!
মাঠ থেকে বুকের সব ফসল কেটে নিয়ে গেছে কাঙাল মানুষ। বড়দিন।চলুন ওখানেই।পিকনিক পার্টি জমুক। হরিবোলের বাজনা বাজুক, ‘কাড়ান্যাকড়া’র আওয়াজ উঠুক। দুর্বল হৃদয়ের মানুষ সব না হয়,শবই হয়ে থাক!যিশু খ্রিস্টের হাতে পায়ে একটা একটা করে পেরেক পোতা হচ্ছে আর উল্লাসে ফেটে পড়ছেন আমজনতা! ওদের মুখেই শুনে নিন, মেরি ক্রিসমাস,হ্যাপি নিউ ইয়ার।
ভালো থাকুন। পারলে ভালো থাকুন।