• Uncategorized
  • 0

বাস্তবতার রঙ্গমঞ্চ, প্রজ্ঞা

বাস্তবতার রঙ্গমঞ্চ

“রোল প্লে করা বোঝো?
ওই রোল প্লে করছে”, লেখকের ভাব টেনে এনে বলল ছেলেটা৷ ছেলেটা হল আমার দাদা৷ গত ২০ বছরেও ওর মধ্যে এমন লেখকীয় ভাব দেখিনি কোনওদিন৷ আজ দেখলাম৷ সে যাক গে৷
“কি? কিসের রোল? কি বলছিস? আরে ভর দুপুর বেলা পথ চলতে গিয়ে তোর মাথা গেল নাকি খারাপ হয়ে?”, আমি খানিকটা বিরক্ত হয়েই বললাম৷
“নিজেই তো বললি রাস্তায় লোকের ঠাসা-ঠাসি৷ ওগুলো আসলে ঠাসা-ঠাসি নয়৷
“মানে টা কি? কি বলছিস! কিছুই তো বুঝতে পারছি না! গরমে টরমে কি মাথা খারাপ হয়ে গেল নাকি?”
“আচ্ছা তুই তো কোনওদিন থিয়েটার যাসনি৷ তাই জন্যই৷ নিয়ে যাব খন একদিন৷ দেখবি গিয়ে রোল-প্লে করা কাকে বলে৷ দেখবি কেও অটোওয়ালা সেজে দাড়িয়ে আছে, কেও আবার রিক্সার প্যাডেল ঘোরাচ্ছে৷ হয়তো বা আবার কেও জোকার তো কেও ফেরিওয়ালা……”
ওকে কথা শেষ না করতে দিয়েই আমি বললাম,” আরে জানি জানি; থিয়েটার না গেলেও ধারণা আছে৷ তুই বোধহয় ভুলে যাচ্ছিস নাটক করি আমি” বিজ্ঞ মনোভাবের উত্তর আমার৷
” হা হা হা…ওহো! তাই তো৷ তুই তো আবার নাটক করিস৷ যেটা তুই নাটকের স্টেজে করিস, ওটাই ওরা বাস্তবতার রঙ্গমঞ্চে পারফর্ম করে চলেছে৷ তোদের তো সাময়িক অঙ্গভঙ্গিমা; আর এরা বাস্তবতার রঙ্গমঞ্চে অনবরত রোল-প্লে করে চলেছে৷ বুঝলি কিছু? ওই যে দেখছিস রাস্তাখানা, ওটা হলো রঙ্গমঞ্চের স্টেজ৷ মানুষগুলো হলো এক এক খানা চরিত্র, যারা নিজেদের দরকারেই পথ চলছে; আর প্রয়োজনে গড়ে তুলছে নানারকম সিন৷ ক্রিয়েট হচ্ছে নানারকম সিচুয়েশন৷ বাস্তব হলো আসলে এক একটা ‘রঙ্গমঞ্চ’৷ যার যেরকম দরকার সেরকম ভাবে সবাই সবার রোল-প্লে করে চলেছে বিনা বাক্যব্যয়ে৷ তুইও তাই, আমিও তাই৷ রোল-প্লে শেষ হলে সবকিছুই শেষ৷”
“আচ্ছা, আচ্ছা বুঝলাম৷ চল এবার; তোর এই বাস্তবতার থিয়েটার দেখতে গিয়ে সন্ধে নেমে এল৷ এরপর বাড়ি গিয়ে সাক্ষাৎ দুর্গা দর্শন হবে৷ নে নে পা চালা তাড়াতাড়ি৷”
বিঃদ্রঃ 
গল্প যেমন মিথ্যে সুন্দর করে সাজানো, মনগড়া চরিত্র দিয়ে আঁকা থাকে, ইচ্ছে হলেই তৈরি করা যায় নানা সুন্দর ঘটনার, এটাও তাই বা গল্পের চেনা ছকের ব্যতিক্রম নয়৷ আমার মনগড়া গল্প৷৷
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।