জন্ম- ১৯৬৭, বরানগর।
বর্তমানে দার্জিলিং জেলার মিরিক মহকুমার উপশাসক ও উপসমাহর্তা পদে আসীন।
চাকরীসূত্রে ও দৈনন্দিন কাজের অভিজ্ঞতায় মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের সমস্যা সমাধানে তাঁর লেখনী সোচ্চার।
জেনেটিক্স ও মহা প্রাচীন ভারত
(যে লোক জেনেটিক্স আর ইতিহাস কিছুই জানে না, এটা তেমন লোকের কল্পনা বিলাস। রামগরুড়ের ছানাদের অপাঠ্য)
৬
দ্রৌপদীর জন্ম বৃত্তান্তটি খেয়াল করুন গো বাবু মশায়রা। ও মেয়ে না কি যজ্ঞের আগুন থেকে সোজা উঠে এসেছিল। । সে সব দিনে ত্বকের রং কটা না হলেই তাকে অবছেদ্দা করতে হবে, এমন নিয়ম সিভিল সোসাইটি তে ছিল না। দ্রৌপদী ছিল কালো মেয়ে। তাই তার আরেক নাম কৃষ্ণা। যজ্ঞের আগুন থেকে উঠে এসেছিল বলে তার আরেক নাম যাজ্ঞসেনী । সে পাঞ্চালী, কেননা, সে পাঞ্চাল রাজকুমারী। এই অব্দি বেশ লাগে। জেনেটিক্সের পাঠ শুরু হয় তখন যখন দেখি, কৃষ্ণা দ্রৌপদী যৌবনবতী হয়ে জন্মাচ্ছেন। লোকে ছোট্টটি হয়ে জন্মায়। ওঁয়া ওঁয়া করে কাঁদে। এই দ্রৌপদী মেয়েটা একেবারে সাবালিকা হয়ে জন্মালো। আপনারাই বলুন, এর মধ্যে জেনেটিক্সের চমৎকার নেই?