• Uncategorized
  • 0

তারাপদ সাঁতরা স্মারক নিধি-র দুর্গাপুরের গ্রামে মানবিক প্রয়াস

দুর্গাপুর ১৬ জুলাইঃ তারাপদ সাঁতরা-র আদর্শে প্রতিষ্ঠিত “তারাপদ সাঁতরা স্মারক নিধি” ২০০৭ থেকে নিরলস প্রয়াসে প্রত্নতত্ত্বপুরাতত্ত্ব ও লোকসংস্কৃতি বিষয়ক ক্ষেত্রসমীক্ষা, জাতীয় স্তরের আলোচনাসভার আয়োজন এবং ঐসব বিষয়ে সংস্থার মুখপত্র “পুরালোকবার্তা” প্রকাশ করে আসছে। চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে ‘নিধি’-র কর্মকান্ড আরও মানবিক মুখ পেয়েছে। দুর্গাপুর একদা শিল্পনগরী ছিল, এখন শিক্ষানগরী বলা হয়। এতো আধুনিক কালের কথা। দুর্গাপুরের প্রাচীন ইতিহাস কি নেই? থাকলেও মাটির তলায় চাপা পড়ে আছে। কিন্তু দুর্গাপুরের প্রাচীন বাসিন্দারা বেঁচে আছে, অস্তিত্বের সঙ্কট সঙ্গী করে, শিল্পায়ন-শিক্ষায়নের প্রদীপের নীচে অন্ধকারে। দুর্গাপুরের গোপালমাঠে এই রকম একটি জমাট বাঁধা অন্ধকারে বাস করে হাড়ি-বাউড়ি-মুচি-ডোম-মাঝিরা। ১১০টি পরিবার, মোট জনসংখ্যা ৬৫৮ (১-১৭ বছর পুং ৯০, মহিলা ৯১; ১৭- বছর পুং ২৫২, মহিলা ২২৫), ছাত্রছাত্রী ১৩৩। ১৫টি বাড়িতে শৌচাগার ও ৩১টি বাড়িতে স্নানঘর নেই। পানীয় জলের জন্য রাস্তার কল ভরসা, পালি করে জল নিতে হয়। বেশিরভাগ বাড়িতে আলো নেই। রাস্তার আলোই ভরসা। প্রধান জীবিকা – ছেলেদের দিনমজুরি আর মেয়েদের বাবুদের বাড়িতে পাট করা। মারোয়াড়ী মহিলা সমাজ ও মারোয়াড়ী যুব মঞ্চের সহযোগিতায় “নিধি” ঐ পাড়ায় দুটি কুয়ো করাতে সক্ষম হয়েছে। “বাঁচতে চাই” নামে একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠী স্থাপন করে “নিধি” মহিলা ও মেয়েদের জন্য কাগজের মন্ডের মুখোশ, কাগজের ব্যাগ, স্যানিটারি ন্যাপকিন বানানোর প্রশিক্ষণ ও বিপণনের ব্যবস্থা করেছে। তাদের জন্য সেলাই, মাশরুম চাষ, সফট টয়েজ ও জাংক জুয়েলারি তৈরিরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের বিনামূল্যে খাতা-বই-পেন-পেন্সিল নিয়মিত দেওয়া হচ্ছে। একটি মেয়েকে কলেজে ভর্তি থেকে সব খরচ দেওয়া হয়েছে। ‘উৎর্কষ বাংলা’য় বেশ কিছু ছাত্রছাত্রী প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। ইতিমধ্যে বিনামূল্যে ‘রক্তদান সচেতনতা শিবির’, ‘চোখ পরীক্ষা’, ‘স্বাস্থ্য পরীক্ষা’ প্রভৃতির আয়োজন করা হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও অনেক কর্মসূচীর কথা ভাবা হয়েছে।                                           –
নিজস্ব সংবাদদাতা, দুর্গাপুর, বর্ধমান
Spread the love

You may also like...

error: Content is protected !!