টেকটাচটক। প্রথমে ভেবেছিলাম আরও পাঁচটা ব্লগজিনের মত এটাও চলবে। লেখা চাওয়া হবে। হুড়োহুড়ি করে ফেসবুকিয়ান কবি সাহিত্যিকরা লেখা পাঠাবেন। আর সেগুলো বানান ভুল, শব্দ ভুল, ছন্দ ভুল সমেত হুবহু কপি পেস্ট করে প্রকাশ করে একের পর এক সংখ্যা প্রকাশিত হতেই থাকবে।
কিন্তু ভুলটা ভাঙলো কয়েকটা সংখ্যা দেখার পরে। এমন একটা আশ্চর্য বাতাবরণ তৈরী করে দিল টেকটাচটক যে পাঠক গুড়ের মধ্যে মাছি আটকে যাওয়ার মত আটকে গেলেন। প্রত্যেকটি দিন টেকটাচটকের নতুন পাতা, নতুন সম্পাদক, নতুন বিষয়, নতুন আঙ্গিক ওয়েবজিনটিকে উন্নীত করে আগামীর দিকে। আসলে এই পত্রিকা বিশেষ কোনো একজনের ভাবনবৃত্তের ফসল নয়। গুচ্ছ চিন্তাশীল মানুষের সৃজনশীল ভাবনায় প্রত্যেক দিন নতুন করে জন্মায় টেকটাচটক।
আর এভাবেই দেখতে দেখতে প্রকাশনার ১০০ দিন এসে গেল। এভাবেই পত্রিকা প্রকাশনার জগতে পরতে পরতে নতুন পাপড়ি খুলতে খুলতে এগিয়ে চলেছে টেকটাচটক।
আমার ব্যক্তিগত ভালোলাগা জুড়ে গেছে এই ওয়েব পত্রিকার সঙ্গে। বেশ কয়েকটি সংখ্যায় আমার লেখা প্রকাশিত হয়েছে এখানে। কিন্তু শুধুমাত্র এই কারনেই নয়, একজন পাঠক হিসাবে টেকটাচটক কে আমি শংসাপত্র দিতে পারি এই পত্রিকা আজকের প্রযুক্তি ও সাহিত্যের আধারে আগামীর বার্তাবহ।
এগিয়ে চলুক টেকটাচটক পরিবার। আজ এবং আগামীকাল এই পত্রিকাকে ধারণ করবে উজ্জ্বল অক্ষরে।