নিজের মৃত্যুর হরির লুটের বাতাসা বেশি মিষ্টি লাগে।
পথের দুধারে এত কচুবন কেন? দেহে সমাধি আনতে এত কচুবন কাটব কখোন বা পেরোবো কখোন? মেয়ে জোনাকীর আলো কতো কতো কেলভিনে জ্বলছে তাও চোখে পড়ছে। শুধু কচুবন জানে ঘাড়ে কি ভীষণ চুলকানি আমার। কাঠিফড়িং এর চোখ নিয়ে মিষ্টি চাখি। বলিরেখায় টানটান রামধনু কাঠিফড়িং এঁকেছে।
সোনাবীজ
যেহেতু কচুবন পেরোতে দেরি আছে সেহেতু তাদের গোড়ায় গোড়ায় অলীক গল্পের স্তূপ। উইপোকার উইন্ডোজ। পাওয়ার পয়েন্টের ছেলেমানুষি। ঠুন ঠুন হলদে তারাদের কারসাজি। আলবিদা আর বিদায় সেভাবে প্রস্তুত নয়। এখনো প্রসব ব্যথায় মুচড়ে ওঠে মাঝে মধ্যে। মাথার উপরে যতটা আকাশ আছে তাতে মেঘ নেই। বুড়ির ঘরে আগুন লাগানোর কেউ নেই। সোনাবীজ ছড়াবার কেউ নেই। মেঘ কাঁদছে আকাশের বাইরে বসে।
ইথারসত্য
আকাশ ও মাঠের ফোর জি বিলাসিনী রাই আমি। মাঠের মাঠাতোলা আলো সেবন করি। বিশ্ব উষ্ণায়নের দিনে এসব আর মানায় না। এর মধ্যে হ্যাপি ধূমকেতু শুভেচ্ছা এসে পড়ে। বুক এফোঁড় ওফোঁড় করে চিরে যায়। শুভেচ্ছার তীক্ষ্ণ সা। দুটো কান লাট্টু হয়ে ঘুরতে থাকে মাথাকে ঘিরে। ধূমানন্দের জগৎ। হাতা খুন্তিতে রবে নীরবের লঘুসংগীত গিটার। পৃথিবীর ঘিলু ফেটে মুক্তি ছড়িয়ে পড়েছে। চাটতে চাটতে জিভ সাত হাত লম্বা। বামন মৃত্যু চাই না। সহস্র তিল ও আঁচিলের অদৃশ্য হবার কাল। সময়ে থামতে শেখো।
চামচদের ফিসফিসানি শোনো
গুরুপাপে লঘুসংগীত গেয়েছি। কোরোনা ভাইরাসের মতো পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে আর ঘোরালো হয়ে গেছে। যাজ্ঞবল্ক্য নাসা স্ফুরিত। হুমকিও ভাতপাতের চারপাশে প্রদক্ষিণ করছে। মোবাইল কানে গঙ্গার পাড় আরো ঢালু ও নেশাগোল। ওয়াইড অ্যাঙ্গেলে কিছু ভুল মোটিফ রয়েছে। খুঁটিয়ে দ্যাখো। একশো থেকে একের দিকে হাঁটতে কষ্ট হচ্ছে। হবেই। অতিসার মন। হাইড্রোজেনের চিৎকারে মোড়ের চারটি পথই কালা। লকগেট মরে কাঠ। চামচদের ফিসফিসানি বুক পেতে শোনো একবার।
মরে কাঠ
এই যে চৌমাথার মোড় ভেসে গেল। শ্যালো পাম্পের জলে নিন্দেমন্দ ভেসে যাচ্ছে । শ্যাওলা দূর অস্ত্। জীবাণুও জন্মায় না। অজগর বমি করে বার করে দিয়েছে আমাকে। উবে গেছে পেনিসে লেখা কবিতা। বমির তোড়ে ভেসে গেছে শরীরের মালভূমি। কিছুই ছিল না আমার ঝলসানো হাড় ছাড়া। কতোটা অস্পষ্ট করা যাবে সাতশো গিগাবাইটের ঝরনাতলা। গতিবেগ বেড়ে যাওয়ায় পৃথিবীর আঙুল মটকে অনেক বানোয়াট মূর্ছনা দেবে। প্রক্সি দেবে আমার। তাল কেটেছে অনেক মেগাপিক্সেল।