• Uncategorized
  • 0

গুচ্ছকবিতায় সোনালি চন্দ

চাঁদছায়া

নৈঃশব্দ্যের আড়ালে কিছু শব্দ জড়িয়ে ছিল,
পা ডুবে যাওয়া জলে চাঁদের ছায়া
জোনাক রাতে পুড়ে যায় আবছায়া,
সেখানে ছেলেবেলা আটকে থাকে, শিকল পায়ে!
নিরুত্তর পৃথিবী থেকে দূরে কোথাও সরে যাওয়া ভালো,
সরে যেতে হয়, না হলে বসত পাওয়া যায় না,
একটা ঘরের মধ্যে আরেকটা ঘর,
সে ঘরের খবর রাখে না পৃথিবীর আলো,
সরে যেতে হয়, সরে যাওয়া ভালো!
যে পাহাড়ের গায়ে হলুদ ছায়া একলা নামে,
মানুষের পা পড়ে নি এখনো সেখানে,
চোখ দিয়ে চিনি না, বুঝি কিছু বাতাসের ভাষা,
নক্ষত্ররা এখনো বাড়ি বাঁধে যেখানে!
সম্পূর্ণ হয়েওঠে না কেউ,
অসম্পূর্ণতা এক আশ্চর্য নেশা
ফুল নয়, সম্পূর্ণতা আসুক কাঁটাশরীরে,
মূর্তির শরীরে খুঁজে নিও ভাষা!

বিলাসিতা

সহজ নয় ,খুব সহজ নয়, জমে থাকা শহরের রক্তাক্ত বুক পরিস্কার করা,
আমি তুমি তবুও দেখিনি কখনো,
কিভাবে ছিঁড়ে খায় ওদের শিরা উপশিরা।
ভেবে দেখিনি প্রাচুর্যের ড্রয়িংরুমে বসে,
কিভাবে অন্ধকার গ্রাস করে পড়ে থাকে,
রাতের ফাঁকা রাস্তার বিছানা সম্বল,
তবুও বেঁচে থাকার স্বপ্ন আঁকে ।
অসুস্থ শহর,অসুখ ধরেছে বিলাসিতার জানলাকাঁচে,
ভিক্ষাপাত্রে কয়েকটা পয়সা ফেলে নির্বিকার তোমার বিবেক বাঁচে!
ইউনিয়নের নীলে অলৌকিক চোখ,
কুকুরের সাথে সহবাস নিয়তি
শহরের প্রতিটা ম্যানহোলে লেখা থাকে,
আঁকড়ে বেঁচে থাকার অনর্গল আকুতি!
তুমিও মানুষ, তোমার কলম তোমার বিলাসিতা,
রোজ রাতে ওরা শান দেয় ওদের চিতানখে, ওদের সঙ্গী নৃশংসতা!
দোষ কারো নয়, তোমাকে আড়াল করে সাজানো মাংসের থালা,
ওদের জন্য পড়ে থাকে হাড়গোড়,
সংস্কৃতির ছাল ছাড়িয়ে ওদের পথ চলা!
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।