গুচ্ছকবিতায় সন্তোষ চক্রবর্তী

১।শূন্যতা 

এক একটা মানুষ
মানুষ অর্থে বলছি সেইসব মানব মানবীর কথা
যারা দূরে হঠাৎ দেখা তারার মতন!
কিছুকাল থাকে।পরক্ষণে মিলিয়ে যায়।

তার ও তারাদের না থাকার দিকে চেয়ে থাকি
উদাসীন ও কিংকর্তব্যবিমূঢ়
এখানে শূন্যতা নিশিরাতের সমান।
আবার একদিন দেখেছিলাম ওপর তারাটির পাশে
জ্বলছিল আর হাসছিল মিটিমিটি
আমি পুড়ছিলাম যেমন মরা মানুষ
দুঃখ ও ধোঁয়ায় ছেয়ে যাচ্ছিল আকাশ…

অমন এক একটা মানব মানবীর না থাকা এখন
বোবা ও বোকার মতো বসে আছে।ঘন মেঘ আকাশে
বৃষ্টি হলে কিছু পরে,এসব শূন্যতা ভাসাবো অথৈ জলে!

আবার এক একটা মানুষ হারিয়ে যাবে হঠাৎ
এখন শরৎকাল।কাশফুল আর
উৎসবগন্ধের দিন…

২।সূচনা 

সূচনায় থমকে দাঁড়ায়
এই আলো আলো পথ
যার হাত ধরে দূরে…

কোলাহল কে? দূরে একা
সান্ত্বনায় বরণ করে নিজেকে।
আমার তৃণের চর্ম,দেহটি রাখা
আছে শঙ্খচূড়ের কাছে।তাকে
নাচাই যেমন খুশি।খুব কাছে
করতল পাতি।শরীরে মিলিয়ে যায়!

এমন সোহাগ আমার
চঞ্চল।এ ভুঁই সে ভুঁই করে
কৃষকের নাগাল চাই।তাকেই চেয়েছি
যার বিদেহী মন নীল হয়ে আছে বিষাদে।
অথচ নাছোড়!প্রতিকূল প্রহর
বাধা দেয়।থমকে দাঁড়ায় সূচনায়।

৩। স্পর্ধা

নিথর নষ্ট হবার পর
শবে শবকে পোড়ায়
কদর দিতে জানে না!

কেমন বাসা ছিল তার
ভাসা ভাসা চোখের ভালোবাসা
কদাচিৎ ভুলের দিকে এক পা_দু’ পা
কণ্ঠরোধ হতে হতে
স্বর ভুলে একাকী…

কে কাকে নিহত করে স্পর্ধায়!
প্রতিহিংসা চরমে ওঠে।লালায়িত জিভ
গিলে ফেলে শরীরের দিকে সব প্রশ্ন।
পথে পড়ে থাকে একা
নিথর শব!

 

 

Spread the love

You may also like...

error: Content is protected !!