• Uncategorized
  • 0

গুচ্ছকবিতায় মানিক দাক্ষিত

১। হোক কলরব

কোকিলের কুহু-রব
মন না মাতায়,
ঋতুরাজ বসন্ত
চোখ রগড়ায়।
পৃথিবীর শরীরটা
নয় ভাল নয়,
জানি না কবে ফের
ভয় হবে জয়।
তাড়াতাড়ি কেটে যাক
কালো মেঘ সব,
পথে ঘাটে হাঁক-ডাক
হোক কলরব।

২। বাঁচার অর্থ খুঁজতে হবে

বীরত্বটা দুর্বলের ওপর দেখিয়ে
কর্তৃত্বের কাজটা চালানো সহজ।
তবুও দিব্যোক ঘোড়া ছুটিয়ে
অধিকার চায়—হোক না সব খরচ।।
পুঞ্জীভূত ক্ষোভ জমে দুর্বলের
অস্থাবর নিরাপত্তাহীন হৃদয়ে।
ঘুমন্ত শার্দুল জাগে
মহীপালের বিপদ সংকেত জানিয়ে।।
মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যুর ইতিহাস
প্রায় দাঁড়ায় একই সীমায়।
তবুও বাঁচার ধরন খানিকটা
পুড়ে মরা পতঙ্গের নিংড়ানো অগ্নিশিখায়।।
যদিও জন্মের সহজ বেলায় বাঁচা খুবই সহজ,
তবুও মৃত্যুর পথে হাঁটা বেশই জটিল।
বাঁচার জন্য বাঁচা নয় কথাটা ভাবলেই
তৈরী হয় হিজিবিজি একরাশ দলিল।।
লুকিয়ে থাকা বাঁচার অর্থ
খুঁজতে হবে পূর্ণিমার আলোয় ,
কিংবা কাটফাটা রোদে ;
যেখানে অজস্র মাথার খুলি
বাতাসের সাথে শিশু হয়ে কাঁদে।

৩। ন্যায়াধীশ মনকে

ভারতের প্রচ্ছন্ন কক্ষ হতে আমার নিষ্পিষ্ট হৃদয়
তোমাদের ন্যায়াধীশ মনকে জানায়—
মহাভারতের বদ্ধ সূর্যকে
মুক্ত করো ভূতলে।
প্রাতিকূল্যে নির্বচনীয় প্রমথেশ রসাতলে।
জ্ঞান পিপাসায় পিপাসার্ত জীবগণ
আনচান করে।
তবু বিন্দু পরিমাণ দুগ্ধে বিমুখ।
বসুদেবপুত্র কৃতাঞ্জলীপুটে পরমানন্দ দানে
উল্লসিত দেবকী।
জীবের শুদ্ধ বুদ্ধিতে বসুদেব সম্পূর্ণ।
কৃষ্ণের পরিণতি আত্মার দর্শনে।
অজ্ঞানতার কুটিল জঠরে
দু:খ কষ্ট জন্ম পায় সহস্র রীতিতে।
অজ্ঞানতা কংসের বংশ বৃদ্ধিতে
দেবং বিস্মৃত প্রায়।
বদ্ধ সূর্য অচৈতন্য
কংসের অন্ধকার কারাগারে;
সতর্ক প্রহরী কংস তাই হিংস্র হায়না।
ব্যক্তি হতে ব্যক্তি মিলে
বুদ্ধির শুদ্ধতায়
যদি সমষ্টি জাগরণ ঘটে
সমুদ্রের নাগাল অথচ অতল গহ্বরে
কিংবা পরিপূর্ণ শূণ্যতার আকাশে,
তবে মরবেই কংস কালের চাকায়
গ্রহের বিপাকে।
কংসের অনুপস্থিতিতে
বদ্ধ সূর্য চৈতন্যের মহিমায় আলিঙ্গন জানাবে
আমাদের ঘনিষ্ঠ সংযুক্ত দেবং-এ।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *