• Uncategorized
  • 0

কবিতায় মিষ্টু বসু

একটি মাতালের আত্মকথা

আমি কে ও কেন উত্তর অন্বেষণে গোটা একটা জীবন হুশ করে উবে যেতে পারে বুঝে আমি যখন চিন্তা-ভাবনাকে নিশ্চিন্তে বিশ্রাম নিতে বলে ভিতর ঘর থেকে  একটা সিগারেট আনতে গেছি, দেখি অসন্তুষ্টি পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া করবে বলে রান্না ঘরে বাসন মাজছে,একটু আগুন চাই? না বলতে পারিনা বলে বুকের বাঁদিকে একটা উল্কা-ক্ষত চিরস্থায়ী বন্দোবস্তে কিছুটা জমি ঝোপ বানিয়ে রেখেছে,কিছু বলতে গেলেই দু-চারটে সরীসৃপ ছেড়ে দেয় সোজা ভোকাল কর্ড ধরে ঝোলে,এন্টাসিডের ভয় দেখলে যায়তো নাইই, উল্টে চোখে ধোঁয়া ভরে দেয়, তখন চতুর্দিকে বিষাদ মশারি টাঙিয়ে ভিতরে চলে আস্তে বলে, বাইরে সব কসাই থুড়ি মশা, অগত্যা নিরাভরণ বালিশ টেনে শয়নং মেডিটেশনের স্টেশনে গিয়ে দাঁড়াই।ভাসা ভাসা ট্রেন আসে কুয়াশা ঘেরা পথ ধরে টুক করে উঠে পড়ি।ফাঁকা কামরায় চোখ লেগে যায়,দেখি উঁচু পাহাড়ের ব্যালকনিতে নীল মেঘের দোয়াতে কেউ শান্তি চুক্তির আহবান লিখে রেখেছে কমলা লেবুর গায়ে।আঁকাবাঁকা সিঁড়ি খুশির রোদে ভেজানো রাস্তা ডাবল-ট্রিপল টপকে পাড়তে যাই,অমনি পিছন থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে আদিম পুরুষ নাম-নীতি,কাম-মাঝে মাঝে ভেসে ওঠা,বন্ধু-বিবেক সিনেমায় সুযোগ পায়না তাই জ্বালায়,ট্রিম করা দাড়ি আর কর্কশ গলায় “না বলে মানে চুরি।দূর হট ” বলে দুজনে মিলে চক্রান্ত করে এমন ধাক্কা দেয় যে,টাল সামলাতে না পেরে,শর্টকাটে খাদ বেয়ে খরস্রোতা কুমির পোষা নদীর বুকে পড়তে পড়তে দেখি পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে আত্মতুষ্টির গ্যারেজ, ভিড়ে ঠাসা ঈর্ষার দোকানঘর,গর্বের ট্যানারি,অতিরিক্ত প্রত্যয়ের বাল্বের  কারখানা,বুক খোলা জামায় অহংকারের ধুলো উড়িয়ে বাইক ভ্রমণ আর তার অনেক অনেক নিচে প্রায় সমতলে বিশ্বাসের খড়ে ছাওয়া বাড়ি যার নেম-প্লেট বলে কিছু নেই ফাঁকা ফাঁকা শুধু পুরনো দুটো সাইকেল স্ট্যান্ড করে রাখা আছে;নিঝুম যার একটা বোধহয় সরল আর একটা সহজের,অন্তত: মাঝি তাই বলেছিলো।
বিশ্বাস করুন স্যার,আমি ওই,ঠিক ওই যে কোনো একটা সাইকেলে চড়ে শান্তির সাথে ইয়ে মানে ‘আ্যপো’ করতে যাবো বলে প্রতিদিন শোয়ার আগে এক বোতল রাম,সন্তুষ্টির জলে গুলে খাই,আর কোনো কারণ নেই…
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।