কবিতায় মনোনীতা চক্রবর্তী

কার মিলন চাও বিরহী (১)

বিতর্ক থেকে উঠে আসছে বাঘনখ। এমন শীতের দুপুর আশ্চর্য ঘুমের ভিতর লিখে চলেছে বেইমান মাকড়ির আত্মজৈবনিক।
দেবীমুদ্রায় কমলালেবুর বাগান আর মূর্তি নদীর নিঃসঙ্গ পাথর ও একাকী তিল
আর বুকের ভিতর ছুটে চলা পুন্যশ্লোককে…
সরা-পিঠের গন্ধে কবি নিখোঁজ হন।
এমন শীতে তোমার দুপুর-নদী আর
শামুকের স্থির চোখ বারবার ভেসে ওঠে!
আমার কবিকে বড়ো মনে পড়ে। ছাতার মতো গাছটি, বোহেমিয়ান-ঘাসগুলো কী জীবন্ত হয়ে ওঠে সুবীর’দা আর জুঁই’দির ডুয়েট কবিতা যেন!

পাথরের গায়ে লেগে থাকা তিলে একে-একে সব কবি চোখ রাখেন আর ফিরে যান। কেবল মৃত্যুর নাকে জিভ রেখে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে প্রিয় কবি পীযুষ। অসম্পাদিত কাগজের ভিড় ঠেলে বেরিয়ে আসে
আমার ভালোবাসার মুখ…

বিতর্ক থেকে উঠে আসছে বাঘনখ। সবকিছু জেনে ফেলার অপরাধ অপরাধীর চেয়েও ভয়ঙ্কর; এই নির্মম সত্যি তিরের মতো ছুটে আসে এবং বিদ্ধ করে। যাবতীয় প্ররোচনা অমোঘ লেখে!

এমন শীতের আলো-নেভা দুপুর বারবার ‘বর্ষামঙ্গল’ আর মূর্তির তীরে ভেসে আসা বাঁশি মনে পড়ে। বারবার মনে পড়ে- ছেলেটি আর সেই মেয়েটির সহজ-মুখ!

বারবার উঠে আসুক বিতর্ক… মেয়েটি বাঁশির গায়ে আরও গা-এলিয়ে থাকুক…

Spread the love

You may also like...

error: Content is protected !!