বহমান স্টেশনের অন্য পারে ছেড়ে এসেছিলাম | ঐ পারে আমার ২০,২১ বছরের ঝাঁ রোদ্দুরের বল্গা পড়ে থাকল ধুলোয়| গ্রীবার পদ্মহার টের পাচ্ছি , শরীরের মাঝরাস্তায় বসে পড়ছে মন| পিছিয়ে পড়ছে অনুভূতির পৃথিবী | তার পাশে যে হাত পড়েছিল, শরীর তার সব জানে নি তখনো | কটা কুলুপ, কটা খিলান , কটা অন্দরমহল| দরজারা ঈষৎ ঘুমিয়ে আছে কাদা হয়ে | দুপুরে বৃষ্টি নামলে তার মুখখানা কী ঘোর হয়ে যায়, মনে হয় বুঝি ফিরতে চায় না সে | অমানিশার মেঘ এসে এলিয়ে দেয় পিঠের ব্যাগ , জানতে চাই …ওদিকের ট্রেনের গার্ড কি বাঁশি বাজিয়েছে| এবার তাহলে, গাড়ি ছেড়ে দিল| আমি একা চলেছি অন্য কোনো দ্বীপে| এখানে শব্দগুলো ডাকে কথা পাঠায় না, সব ভুলে যাওয়া ব্রেইলে কেবল অন্ধ তার গান লিখে যায় |
যেখানে তোমাকে পাবার কোনো মন্ত্র তাবিজ পুঁথি নেই , সেই এক জায়গায় ,গীর্জার ওদিকে মামড়া বাজারের কাছে একটা লতাগাছে আমি আমার শেষ কান্না টাঙিয়ে এসেছি | পাগলভাই, সেই গাছ চিনতে এখন আরো ৩০ বছর কেটে যাবে | দেখো, আমিও কেমন বোবা হয়ে যাচ্ছি , পাতার গায়ে উল্কা এসে পড়লেও জাগবো না |