শায়র-এ- মেহফিল পহেলী দে

বিদগ্ধ নদীর ছাই

একবার লুকোচুরি খেলতে খেলতে দক্ষিণের সমুদ্র
একজোড়া আপাত চোখে ডুব দিয়ে দেখেছে
উত্তাল ঝড়ের চেয়েও ভয়ঙ্কর এ চোখ।
সাঁতারের সমস্ত কায়দা জানা স্বত্ত্বেও
সে বেরোতে পারেনি চতুর জলের ব্যুহ থেকে।
বাড়ি থেকে বেরোনোর পর যাবতীয় দৃশ্যরা
ছেয়ে ফেলেছিল কবিতার করিডোর
তাই তো আর যাওয়া হলো না
কল্পলোকের নির্জন দ্বীপে।
ভাসা হলো না পদ্মফুলে ছাওয়া অগভীর জলে।
পৃথিবী সমান হাজার গোলক রোজ স্নান সেরে
আমারই দৃষ্টিতে পরিধান করে শুদ্ধবস্ত্র।
তখন তোমার দিকে তাকিয়ে
আঙুলের শরীরে অনামিকা চুবিয়ে
চিৎকার করে বলি,
জীবন ঘাসফুল ব্যতীত ভিন্ন কিছু নয়
একটানে উপড়ে ফেলা যায় শিকড় বাকড়,
ইচ্ছে মতো তুলে নাও রং বে নী আ স হ ক লা।
মুখের ভেতরে লুকিয়ে থাকা
অশরীর পাঠ করে দেখেছি
জীবনতৃষ্ণায় বিদগ্ধ নদীর ছাই
তুলে রেখেছে গোলাপী জামার আস্তিন।
বুকের ভেতরের মোমবাতিটা
মাত্র একমুঠো পশমী হাওয়া চেয়েছিল,
ক্ষীণ নীল শিখাগুলো ছুঁয়ে দেখবে তোমার আকাশ
সপ্তর্ষিমণ্ডল যার তালুতে।
তোমার পূর্বের কবিকে বলেছিলাম
জীবন একটি জুয়ার আসর
তালে তালে খেলে যেতে হয় দানের পর দান।
কখনো কখনো গোলামের দিকে চলে যায় সমস্ত সুযোগ
রাজ্যপাট ছেড়ে রানীহীন রাজা বিশ্বাসে বাঁধে তেপান্তর।
Spread the love

You may also like...

error: Content is protected !!