শিবের গাজন থেকে ফিরে এসে ধারিণী আমার
পাশটিতে বসলেন। তাঁর কেন্দ্রে রাখামাত্র হাত
অদৃশ্য হয়ে গেল। জন্মচেতনা থেকে ছুট্
পাইনি তখনও। রক্ত বোঝা যাচ্ছে। ধারিণী আমার
অস্তিত্ব ভুলে গিয়ে, সুদর্শন চক্র সহিত
কোথায় গেলেন, বহু তমিস্রা নাড়িপথ পার
হতে দেখি, ও হরি, এ-একান্ন তীর্থ আমার
আগেকার বাপের তালুক!
সেই থেকে ঘেঁটে আছি। ছিলিমে জড়িয়ে শালু
দে টান্ দে টান্ ব্যোম
কবিতাটি বমনোন্মুখ…
বনেদি
পুকুর ফুরিয়ে গেছে। সিঁড়িটি আছড়ে পড়ে
কোনও মৃত্যু পাচ্ছে না আর
পিসির বিধবা ছায়া
নাইতে যাওয়ার আগে খিড়কিতে দু’পলক গাছ
অজস্র পাতা ঢেলে ফিরবে ভিতরঘরে
– সেই দুঃখে লোকনাথ আজ
বাণীর খানিক বলে সামলে নিলেন;
যদি শীত যায়, কখনও আবার…