• Uncategorized
  • 0

কবিতায় ক্ষমা রায় ভট্টাচার্য্য

নিঃশব্দ আর্তনাদ 

ওরা আর্তনাদ করছিল ।
প্রতি বছরের মতো এবছরও ওরা আর্তনাদ করছিল ।
দিন যত এগোচ্ছিল ওদের আর্তচিৎকার ততই তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছিল ।
আহা রে !
উৎসবে মত্ত সংস্কৃতিবান মানুষের কান কোথায় যে সে আর্তনাদ শোনে !
তাদের কেউ তখন সুরে কেউ বেসুরে রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইছে যে !
আবার কেউ লোকগানের ভর্তা বানাচ্ছে নিজ নিজ কণ্ঠে ।
আতঙ্কিত পলাশবনের আর্তনাদ তাদের কারুর কানেই পৌঁছল না।
তারপর এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ ।
বসন্তে রঙিন প্রকৃতিকে দেখে নিজেকে রাঙাতে সাধ হলো মানুষের ।
তাই রঙিন হওয়ার আগে রমনীরা নিজেদের সাজালো পলাশ ফুলে ।
তারা গলায় দিলো পলাশ ফুলের মালা ; হাতে পড়লো পলাশের বালা ,বাজুবন্ধ ; কানে পলাশের দুল ;
এমনকি তার  খোঁপাতেও গুঁজলো পলাশ  ।
এত এত রমনী এত এত সাজ …  !
কিন্তু ঝরে পরা পলাশ তো এত নেই ।
অতএব গাছের ডাল থেকে উপরে ফেলা হলো সব পলাশ ফুল ।
ছোট ছোট কুঁড়িগুলোও বাদ গেল না ।
এভাবেই পলাশ নিধনে মেতে উঠলো বুদ্ধিমান সংস্কৃতিবান মানুষগুলো ।
পলাশ গাছগুলোর বুকফাটা হাহাকার ….
উৎপাটিত ফুলের গুমরানো কান্না …
ছোট্ট ছোট্ট পলাশকুঁড়ির আর্তচিৎকার কারোও কানেই পৌঁছল না ।
হায় রে সংস্কৃতিবান মানুষ ….!
কবে ফিরবে তোদের হুঁশ ?
কবে হবি তোরা  সত‍্যি সত‍্যিই পলাশপ্রিয় ?
সেদিন নিজেকে সাজাতে পলাশ নয় , পলাশকে ভালোবেসে পলাশ গাছে ফোটা ফুলেই সাজবে গাছ ।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।